কিচেনকে আকর্ষণীয় করে তোলার কয়েকটি নিয়ম

কিচেন Kitchen। আজকাল এটি শুধুমাত্র খাবার তৈরি করার একটা জায়গা নয়। নিছকই বাড়ির কোনও অংশ বিশেষ নয়। রান্নাঘরের ডিজাইন আজ এক শৈল্পিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। যা সহজেই যে কাউকে আকর্ষণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু সাধারণ বিষয়ে নজর দিলেই কেল্লাফতে। কাউন্টার ও ওভারহেড ক্যাবিনেটগুলির উচ্চতার দিকে নজর দিতে হবে।
কাউন্টারগুলি খুব উঁচুতে বা একদম নিচে হয়ে গেলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কাউন্টার ও ওভারহেড ক্যাবিনেটগুলির উচ্চতার দিকে নজর দিতে হবে। একটি মাঝামাঝি উচ্চতার কাউন্টার ইউনিটে সহজেই জিনিসপত্র রাখা যেতে পারে। এতে ঝক্কি পোহাতে হয় না। অতিরিক্ত কাউন্টার ইউনিটকে এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে, যাতে এটিক সুযোগ ও সময় বুঝে অন্য কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বুদ্ধি করে প্রতিটি জিনিসকে গুছিয়ে রাখতে হবে রান্নাঘরে যদি কোনও বিল্ট-ইন ফ্রিজের ব্যবস্থা থাকে, যদি মাইক্রোওয়েভ ওভেন রাখতে হয়, তাহলে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অত্যন্ত বুদ্ধি করে তাদের ঠিকঠাক জায়গায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে রান্নার জন্য দৈনিক ব্যবহৃত জিনিসগুলিকে এক জায়গায় গুছিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে রান্নাঘরে অনেকটা খালি জায়গা বের করে নেওয়া যায়। যেখানে জিনিসপত্র স্টোরেজের প্ল্যান করা যেতে পারে। সম্প্রতি ওয়ার্মার ড্রয়ারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অনেকেই রান্নাঘরে তৈরি করেন।
ছোট রান্নাঘরের ক্ষেত্রে এই ধরনের ড্রয়ার অত্যন্ত উপকারী। আসল বিষয়টি হল, রোজকার ব্যস্ততার জীবনে স বকিছু হাতের কাছে ও ঠিকঠাক রাখাটা খুব জরুরি। এক্ষেত্রে ছোটো ছোটো কুকিং টুল নির্বাচনে নজর দিতে হবে। যেমন ডিস ওয়াশার। এটি শুধু জল বাঁচায় না। পাশাপাশি এগুলি রাখতেও খুব একটা জায়গার দরকার পড়ে না। বেসিনের জায়গাটিও ঠিকঠাক প্ল্যান করে তৈরি করতে হবে। অযথা অতিরিক্ত জায়গা যাতে না নেয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
পুল-আউট প্যান্ট্রি যদি মশলা সহ রান্নার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার সেল্ভস বা তাক জাতীয় কিছু থাকে। তাহলে ঠিকঠাক জায়গায় তৈরি করতে হবে। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ফেললে চলবে না। এক্ষেত্রে পুল-আউট প্যান্ট্রি একটি সঠিক সমাধান।
প্রেপ এরিয়া সাধারণত স্বল্প পরিসরেই রান্নাঘর তৈরি হয়। কিচেনের জন্য কোনও হলঘর বা ডাইনিংয়ের মতো বড় স্পেস বরাদ্দ থাকে না। তাই অল্প জায়গার মধ্যেই কেরামতি দেখাতে হবে। রান্নাঘর এতটা গোছানো হবে, যাতে যে কারও নজর কাড়তে পারে। এক্ষেত্রে কিচেনের প্রেপ এরিয়া নিয়ে ঠিকঠাক পরিকল্পনা নিতে হবে।
ছোটো কিচেনে লাইট কালার ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে লাইট শেডের বা লাইট কালারের জিনিসপত্রের ব্যবহার ছোট্ট কিচেনকেও সুন্দর করে তুলতে পারে। কিচেনের কাউন্টার টপস, দেওয়াল থেকে শুরু করে প্রতিটি ছোটো ছোটো জিনিসে নজর দিতে হবে। লাইট শেডের ব্যবহারে ছোট্ট কিচেনও অনেক প্রশস্ত মনে হয়। এছাড়াও কুকিং টুল অর্থাৎ কাটিং বোর্ড, প্যান, সবজি রাখার জায়গা এগুলির ক্ষেত্রেও যদি লাইট শেডের কিছু পাওয়া যায়, তাহলে মন্দ হয় না। এক কথায় বলতে গেলে, কিচেনকে যথাযথ সৌন্দর্য প্রদানে লাইড শেড নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।