কল্যাণীতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে শতাধিক হাসপাতালের ঠিকাকর্মী

কল্যাণীতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে  শতাধিক হাসপাতালের ঠিকাকর্মী

গত দু'বছর করোনার (Corona) জেরে কাহিল হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। সরকার থেকে জারি করা হয়েছিল একাধিক বিধি নিষেধ। একাধিক রাজ্যে বহাল ছিল বেশ কয়েক মাস লকডাউন (Lockdown)। এসময় সরকার অনুরোধ করেছিলেন সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য। তবে করোনার প্রথম সারির যোদ্ধা (COVID Warriors) হিসেবে যারা রয়েছেন তারা হলেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ প্রশাসন ইত্যাদি অনেকে।

এদের মধ্যে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মীরা (Health Workers)। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে কোভিড হাসপাতালে কাজ করেছেন একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী। পরিবারের কথা না ভেবে তারা সেবা করে গেছেন কোভিড আক্রান্ত মানুষদের। তবে এবার সেই স্বাস্থ্যকর্মীদেরই কর্মসংস্থান হারাবার আশঙ্কা (Job losing) নদিয়ার কল্যাণীর এনএসএস হাসপাতালে।

সেই কারণে হাসপাতালের সামনে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে (Protest) বসলো ওই হাসপাতালের ১৩০ থেকে ১৪০ জন ঠিকা কর্মী।  নদিয়ার কল্যাণীর নেতাজি সুভাষ স্যানেটোরিয়াম কোভিড হাসপাতালের কর্মচারীরা সেখানে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। হাসপাতালের সামনে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার সমস্ত কোভিড বিধি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। গত ১৮ মাস ধরে ওই হাসপাতালে ১৩০ থেকে ১৪০ জন কর্মচারী কাজ করে চলেছেন। আপাতত সেখানে কেবল ২০ জনকে বহাল রাখা হবে বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়ে দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক ব্যক্তি জানান, তাদের একটাই দাবি, আজ থেকে প্রায় ১৮ মাস আগে আট হাজার টাকা বেতনে পরিবারের কথা না চিন্তা করে দিনরাত তারা এই কোভিড হাসপাতালে কাজ করেছেন। এখন হঠাৎ করেই একটি নোটিশ আসাতে তারা জানতে পারেন ১৪০ জন ঠিকা কর্মীর মধ্যে কেবল ২০ জন কর্মী কাজ করবেন। যার কোনো স্পষ্ট কারণও জানা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী ওই ব্যক্তি। দুজন কন্ট্রাক্টরকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে দুজন কন্ট্রাক্টরের থেকে ১০ জন করে রেখে বাকিদের বসিয়ে দেওয়া হবে। যার কারণেই তাদের এই আন্দোলন।