জেনে নিন জন্মনিরোধক পিল ঠিক কতটা নিরাপদ

জেনে নিন জন্মনিরোধক পিল ঠিক কতটা নিরাপদ

আজবাংলা   বিশেষ সম্পর্কে থাকা পুরুষ ও নারীর মধ্যে কখন কি হতে পারে, তা কেউ বলতে পারে না। ঠিক সেইরকম ভাবেই অপরিকল্পিত ভাবনায় যৌনসঙ্গম হয়ে যেতেই পারে। এরপরে, যত রকমের জক্কি সামলাতে হয় নারীকে।

কারন, গর্ভধারণের নানা ঝুঁকি এড়াতে নানা ধরনের ওসুদ বা পিলের সাহায্য নেয় বেশিরভাগ নারী। তবে, বলা হয় এমন গর্ভনিরোধক পিল বা মেডিসিন এর সাহায্য নিলে অনেক রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সুযোগ থেকে থাকে। আজকের প্রতিবেদনের আলোচনার মুখ্য বিষয় এটি।

আসুন দেখে নেওয়া যাক, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ইমারজেন্সি পিল আপনার জন্য কতটা নিরাপদ? পাশাপাশি দেখে নেব ইমারজেন্সি কনট্রাসেপটিভ পিলস ব্যবহারের কিছু নিয়ম।

১. কোনো গর্ভনিরোধক ওষুধই গর্ভধারণ রোধ করার শতভাগ প্রতিশ্রুতি দেয় না। তাই কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পরও প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ২. গর্ভনিরোধক ওষুধ গর্ভপাত করায় না, শুধু ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশনের সময় পিছিয়ে দিয়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। তাই গর্ভধারণের পর এই জাতীয় ওষুধ খেলে কোনো কাজ হবে না।

৩. অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রুখতে গর্ভনিরোধক ওষুধই শেষ কথা নয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হলো কপার আইইউডি। এটি ১০ বছর পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি রুখতে সক্ষম। ৪. গর্ভনিরোধক ওষুধকে অনেকে ‘মর্নিং আফটার পিল’ও বলে থাকেন। তবে এই ওষুধ সঙ্গমের পরের দিন সকালেই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। রাতে সঙ্গমের পরও খেতে পারেন। যত তাড়াতাড়ি খাবেন, তত ভালো কাজ করবে গর্ভনিরোধক ওষুধ।

৫. গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে ওজন বেড়ে যাবে ভেবে অনেকেই ভয় পান। যদিও এর সঙ্গে ওজন বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ৬. গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার ফলে পিরিয়ড সাইকেল অনিয়মিত হতে পারে। এ ছাড়া মাথা ঘোরা, বমির মতো সমস্যা হতে পারে।