এখন ঘরোয়া পদ্ধতিতে সারিয়ে ফেলুন সাইনাসের সমস্যা

আজবাংলা এখন সাইনাসের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। শীতকাল হলে তো কথাই নেই। এই সাইনাস ইনফেকশন হল একটি নাকের সমস্যা। অ্যালার্জি বা অনেকসময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বা সর্দির কারণে হয়ে থাকে। সাইনাসের কারণে শরীরে মিউকাস বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার জেরে মাথাব্যথা এবং শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়।
এই বিশেষ রোগটির কারনে অনেকেই হয়রান হয়েছেন বা নিত্য হচ্ছেন। অনেক সময়েই দেখা গেছে অনেক ডাক্তার দেখিয়েও তেমনভাবে কাজ হয়নি। শুধু শুধু পকেট ফাঁকা হয়েছে। এটির হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া কিছু দাওয়াই রয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, এগুলি কি কি।
প্ররথমেই বলা উচিত চায়ের কথা। কারন চায়ে কারুর অরুচি, এ কথা তেমন শোনা যায়না। যাই হোক, যদি চা-প্রেমী হন তাহলে হলুদ এবং আদা চা খেতে পারেন। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। হলুদ এবং আদা চা মিউকাস কমাতে সহায়তা করে এবং এটি বন্ধ নাকও খোলে। এর সাথে, এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মেশানো আদার রস দিনে ২-৩ বার খাওয়া যেতে পারে।
এরপর, বেশি বেশি করে জল খেতে থাকুন। দেহে জলের অভাবে সাইনাসের সমস্যাগুলি আরও বেড়ে যায়। আপনার যদি সাইনাসের সমস্যা থাকে তবে সর্বদা নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে জল, চিনি ছাড়া চা পান করুন। এর মাধ্যমে দেহ থেকে মিউকাস বেরিয়ে যায়।
যাঁদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাঁদের উচিত অ্যালকোহল এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকা। এই সময় ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খান। আইসক্রিম, পনির এবং দই জাতীয় জিনিস এড়িয়ে চলাই ভাল। অ্যাপল সিডার ভিনেগার সাইনাসে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবেও কাজ করে। এক কাপ গরম জলে ৩ টেবিল চামচ আপেল ভিনেগার দিয়ে খেলে সাইনাসের চাপ কমে যায়।
লেবু ও মধুও দিয়েও খাওয়া যেতে পারে।শীতের এই সময়টিতে গরম গরম স্যুপ খেতে পারেন। এছাড়াও গোলমরিচ এই সাইনাসের জন্য খুব উপকারি। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সর্দি দূর করতে সহায়তা করে। আপেল সিডার ভিনেগার এবং লেবুর রসও উপকারী হয়।