Ganesh Chaturthi| জীবনে সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য বৃদ্ধিতে কিভাবে গণেশ পুজো করবেন

আজবাংলা তিনি কোথাও গানপাতি বাপ্পা আবার , কোথাও তাঁকে গজানন বলে প্রার্থনা করা হচ্ছে। শ্রী গণেশের বাহন হলেন মুশিক মহারাজ। গণেশ পুজোর Ganesh Chaturthi সময়, ভক্তরা মোদক বা লাড্ডু, বেগুনি ফুল, রক্তচন্দন এবং দুর্বা ঘাস দিয়ে উপাসনা করে । তাহলে চলুন জেনে নিই গণেশ ঠাকুরের কোনও মূর্তির পূজা করে কোন ফল পাওয়া যায় - সর্বার্থসিদ্ধিপ্রদ গণেশের রূপ বর্ণনায় বৃহত্ তন্ত্রসার গ্রন্থের কথা, 'সিন্দূরের ন্যায় রক্তবর্ণ, ত্রিনয়ন এবং স্থূলোদর।
হস্তচতুষ্টয়ে দন্ত, পাশ, অঙ্কুশ এবং ইষ্টা ধারণ করিয়াছেন, বালচন্দ্রদ্বারা কপালদেশ উজ্জ্বল, হস্তীর ন্যায় মুখ এবং মদবারিদ্বারা গণ্ডস্থল আর্দ্র রহিয়াছে। সর্বাঙ্গে সর্পভূষণ এবং রক্তবস্ত্র পরিধান।'বামন পুরাণে আবার গণেশের বর্ণনায় বলা হয়েছে, 'খর্বাকৃতি দেহ, চার হাত, হাতির মতো মাথা, চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম। মূষিক এঁর বাহন।
কারণ, এই মূষিক বৃষরূপধারী ধর্মের অবতার। মহাবল ও পূজাসিদ্ধির অনুকূল।'আপনি গণেশের নাচের মূর্তি কখনোই বাড়িতে রাখবেন না। কারণ এই ধরণের মূর্তি হলো অনিয়ন্ত্রিত শক্তির প্রতীক। সুতরাং এই জাতীয় প্রতিমা যদি পরিবারের অভ্যন্তরে থাকে তবে ঘরে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। গৃহকর্তা সুখ ও শান্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ' বা 'ওঁ গাং গণেশায় নমঃ ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ' বা 'ওঁ গাং গণেশায় নমঃ গণেশ পূজা মন্ত্র একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম। বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।। .অর্থাত্, 'যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।
ধ্যান মন্ত্র - ওঁ খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং প্রস্যন্দম্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোলগন্ডস্থলম্ । দন্তাঘাত বিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং , বন্দেশৈল সুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্ ।। .
গণেশ বন্দনা
বন্দ দেব গজানন বিঘ্ন বিনাশন। নমঃ প্রভু মহাকায় মহেশ নন্দন।। সর্ববিঘ্ন নাশ হয় তোমার শরণে। অগ্রেতে তোমার পূজা করিনু যতনে।। নমো নমো লম্বোদর নমঃ গণপতি। মাতা যার আদ্যাশক্তি দেবী ভগবতী।। সর্বদেব গণনায় অগ্রে যার স্থান। বিধি-বিষ্ণু মহেশ্বর আর দেবগণ।। ত্রিনয়নী তারার বন্দিনু শ্রীচরণ। বেদমাতা সরস্বতীর লইনু শরণ।।
মন্ত্রঃ - ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ' বা 'ওঁ গাং গণেশায় নমঃ (অর্থাত্, 'যিনি খর্বাকৃতি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।) মনে রাখবেন, ধর্মীয় মতে এই মন্ত্রটি দিনে কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে ফল মিলতে বাধ্য। ফিরবে ভাগ্য। বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তারা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করে দিন। কে বলতে পারে হয়তো সুখের দিন আর কয়েকদিনের মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়বে।
মন্ত্রটি হল- 'ওম সৌভাগ্য-বর্ধনাহাহ নমহঃ।' প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মনে কোনও খারাপ চিন্তা আনবেন না। তাহলেই সুফল মিলতে শুরু করবে।
ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং গনপতিং বিদ্যুদ্বর্ণং গজাননং । শ্বেতাম্বরং সিতাব্জস্থং স্বর্ণমুকুট শোভিতম্ ।। শ্বেতমূষিক পৃষ্ঠন্যস্তবামচরনং সিদ্ধিদং । বামজান্বারোপিতদক্ষিনপদং চতুর্ভুজম্ ।। অর্থাত্ যিনি বিদ্যুবর্ণ, গজানন, শ্বেতবস্ত্র পরিহিত, শ্বেতপদ্মে অবস্থিত, মাথায় স্বর্ণমুকুট শোভাস্থিত, যাহার বামচরন শ্বেতমূষিকের পৃষ্ঠে রাখা এবং বাম পা হাটুর ওপর অবস্থিত । যিনি সিদ্ধিদাতা ও চতুর্ভুজ , বাম দিকের দুই হাতে শঙ্খ ও চক্র, ডান দুই হাতে পুস্তক ও লেখনী ধারনকারী সেই সিদ্ধিদাতা শ্রীগনেশকে আরাধনা করি ।
প্রনাম মন্ত্র -
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম। বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।। (অর্থাত্, 'যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।' ) ওঁ সর্ব্ববিঘ্ন বিনাশয় সর্ব্বকল্যান হেতবে । পার্ব্বতী প্রিয় পুত্রায় গনেশায় নমো নমঃ ।। ভগবান শ্রীগনেশের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে শুভ ও দ্রুত ফল প্রদানকারী মন্ত্র নিচে দেওয়া হল, সাধ্যমতে শুদ্ধচারে জপ করলে অবশ্যই মনমতো ফল পাওয়া যায় ।