আফগানিস্তানে পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি চাইলে শেষ করুক ভারত| তালিবান

নয়াদিল্লি চাইলে আফগানিস্তানে যে পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পগুলি হাতে নিয়েছিল, সেগুলি সম্পূর্ণ করুক। বলল তালিবান। খানিকটা নরম সুরেই আজ কথা বলেন তালিবান মুখপাত্র সুহেইল শাহিন। আফগানিস্তানের অস্থির পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। গতকালই তালিবানের কব্জায় থাকা কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের বিমানে দেশে ফিরিয়ে এনেছে কেন্দ্র। নয়াদিল্লি ইঙ্গিত দিয়েছে, তালিবানকে এখনই সরকারি স্বীকৃতি না দিলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা খোলা রাখা হচ্ছে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশে চলতি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সব পেশাদার লোকজনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির উন্নয়ন পরিকাঠামা গড়তে মোট তিন মার্কিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারত। শাতুত বাঁধ, সালমা বাঁধ, আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট ও একাধিক কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নির্মাণ সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ চলছে ভারতের সহায়তায়।
কিন্তু তালিবানের প্রত্যাবর্তনে প্রকল্পগুলির ভবিষ্যত্ ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যেই বুধবার তালিবান মুখপাত্রটি একটি পাকিস্তানি উর্দু চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, আমরা কোনও দেশ বা গোষ্ঠীকে কারও বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ভূখন্ড ব্যবহার করতে দেব না। এটা একেবারে পরিষ্কার। ভারত একাধিক পুনর্নির্মাণ, পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প চালাচ্ছে, চাইলে তারা সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারে কেননা সেগুলি মানুষের স্বার্থবাহী।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ঝড়ের বেগে একের পর এক প্রদেশ দখলে এনে কাবুলের দিকে অগ্রসর হতে থাকা তালিবানকে রুখতে ভারত সেনা পাঠাতে পারে কিনা, এহেন জল্পনার মধ্যেই জঙ্গি গোষ্ঠীটি হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিল, ভারত এখানকার উন্নয়নে ভাল কাজ করেছে, কিন্তু সেনা পাঠানোর পরিণতি যেন ভেবে দেখে! গত সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক ব্যাখ্যা দেয়, নির্মীয়মান প্রকল্পগুলি শেষ হয়ে গেলে ভারতের আর কোনও ভূমিকা থাকবে না আফগানিস্তানে। সেগুলি রক্ষা করার ভার নিতে হবে আফগান জনগণকেই। তখনও তালিবান মুখপাত্র বলেছিলেন, তাঁদের নীতি কাউকে নিজেদের স্বার্থপূরণ বা সামরিক লক্ষ্যপূরণে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় না।