যে কোন দিন ঠিক এই সময় হনুমান চালিশা পাঠ করলেই হওয়া যায় রাতারাতি ধনী

কবি তুলসীদাস রচিত, হনুমান চালিশা হল রামায়ণের শ্রীশ্রী হনুমানের প্রতি নিবেদিত অবধী ভাষায় লিখিত একটি ভক্তিমূলক চৌপাই , যার সাম্ভাব্য রচনাকাল ১৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দ ।
আমাদের চারপাশের নেগেটিভ / অশুভ-শক্তিকে সরিয়ে পজিটিভ / শুভ-শক্তি ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করে ,হনুমান চালিশা পাঠ করার সঠিক অভ্যাসে এবং প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করুন ।
পজিটিভ / শুভ-শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় হনুমান চালিশা পাঠ করলে।
সৌভাগ্য যেন সর্ব ক্ষণের সঙ্গী হয়ে ওঠে হনুমান চালিশা পাঠ করলে , এটি পাঠ করলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। শুভ-শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় হনুমান চালিশা পাঠ করলে। সৌভাগ্য যেন সর্ব ক্ষণের সঙ্গী হয়ে ওঠে হনুমান চালিশা পাঠ করলে।
সঙ্কটমোচন হনুমানকে মন থেকে ডাকলে, জীবন থেকে সমস্ত বিপদ-আপদ দূর হয়ে যায় ৷ প্রত্যেক শনি-মঙ্গলবার তাই মন-প্রাণ দিয়ে বজরংবলীর পুজোয় ব্রতী হওয়া উচিত , আর বজরংবলী বা সঙ্কটমোচন হনুমানের পুজোতে অবশ্যই পাঠ করতে হবে হনুমান চালিশা , যা পাঠ করা প্রচণ্ডই উপকারী ৷
শাস্ত্র মতে, দিনের বেলা হনুমান চালিশা পাঠ করার থেকে রাতে পাঠ করলে বেশি ফল পাওয়া যায়।
রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে কী কী উপকার পাওয়া যায় ??……চৌপাইের মন্ত্র নিয়মিত উচ্চারণ করতে পারলে স্বাস্থ্য, সম্পত্তি এবং সমৃদ্ধি সংসারে উপচে পড়বে। হনুমান সারাজীবন ছিলেন প্রভু রামের ভক্ত। মাতা সীতার আশীের্বাদে হনুমান অমর হাওয়ার বর পেয়েছিলেন। তাই কেউ যদি এই হনুমান চলিশা মন দিয়ে পাঠ করেন তাহলে তার ভাগ্যের চাকা খুলে যাবে। হনুমান যেহেতু প্রভু রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলেন তাই প্রভু রামের আগে হনুমানের পুজো করা হয়।
- রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে আর্থিক সমস্যা খুব দ্রুত কেটে যায়। অভাব অনটন জীবনে খুব একটা প্রবেশ করতে পারে না। ফলে জীবন সুখ শান্তিতে কাটে।
- এর ফলে বাড়িতে থাকা বাস্তু দোষ অনেকটা কেটে যায়।
- এর ফলে পরিবারে সকলের মধ্যে সম্পর্ক ভাল থাকে।
- যদি কোনও ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান সমৃদ্ধ হতে চান, তাহলে এই মন্ত্রের বিকল্প নেই।
- রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে মানসিক শান্তি ও মনের জোর বৃদ্ধি পায়। এই মন্ত্রোচ্চারণে আপনি জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হবেন
- শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে কর্ম জীবনে বিশেষ উন্নতি ঘটতে দেখা যায়, তাহলেও প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করুন , এই মন্ত্রোচ্চারণ করলে আপনি সমস্ত রকম শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন ।
- দৈনন্দিন জীবনে আমরা অজান্তেই যে সব পাপ কাজ করে ফেলি, তার অনেকটা কেটে যায় রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও রোগে ভোগেন তাহলে অবশ্যই এই মন্ত্রটি মন থেকে উচ্চারণ করুন , সুফল অবশ্যই পাবেন।
- হনুমান চালিশা পাঠে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমতে থাকে, সকলেই জানেন যে শনির মহাদশা চললে জীবনে কোনও কিছুই ঠিক মতো চলে না। একের পর এক বাঁধায় দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র হনুমান চল্লিশা।
- নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন, দেখবেন স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি হবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে ।
- শত্রুদের থেকে মুক্তি পেতে এই মন্ত্রটি প্রতিদিন সকালে উচ্চারণ করা আবশ্যক । জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই হনুমান চালিশা পাঠর স্বরনাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
ধ্যান
গোষ্পদীকৃত বারাশিং মশকীকৃত রাক্ষসম |
রামায়ণ মহামালা রত্নং বংদে অনিলাত্মজম ||
য়ত্র য়ত্র রঘুনাথ কীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্তকাংজলিম |
ভাষ্পবারি পরিপূর্ণ লোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসাংতকম ||