জানেন কী ডিমের খোসা কত কাজে ব্যবহার হয়

জানেন কী ডিমের খোসা কত কাজে ব্যবহার হয়

অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হলো ডিম। এর জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিশেষ করে সকালের খাবারে অবশ্যই থাকছে ডিম।ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা এবং সুস্থ থাকার জন্য ডাক্তাররা দিনে অন্তত ২টি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া যারা ডায়েট করেন তারা এর থেকে বেশি ডিম খেয়ে থাকেন।

পোচ, ফ্রাই কিংবা সিদ্ধ করে ডিম খাওয়া  প্রায় সব মানুষ ই পছন্দ করেন। কিন্তু ডিম রেখে এর খোসা ফেলে দেয়া একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।রূপচর্চা থেকে গৃহস্থলির নানা কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমের খোসা। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক এর কয়েকটি আশ্চর্য ব্যবহার-

পাত্রের পোড়া দাগ তুলতে :- প্রায় সব মানুষের রান্নাঘরে পাত্রের ঠিকমতো না তুলতে পারার জন্য সেই দাগ থেকেই যায়। এই সমস্ত দাগ তোলার জন্য ডিমের খোসা খুবই উপকারী। দাগ তোলার জন্য প্রথমে ডিমের খালি খোসাগুলো গুড়ো করে নিন। এবার পাত্রের মধ্যে খোসার গুড়ো, লবণ এবং জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে উঠলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন পোড়া দাগ সহজেই উঠে গেছে। 

বাগান রক্ষা করতে:- বাগানকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে ডিমের খোসা গুড়ো করে ছিটিয়ে দিন। এতে পোকামাকড় বাগানে আসার সাহস পাবে না।

কফির তিতা স্বাদ কমাতে:- যারা কফির তিতো স্বাদ পছন্দ করেন না তারা কফি দানার সাথে কিছু ডিমের খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। কফি গুলিয়ে নেওয়ার পর ছেঁকে নিন। ডিমের খোসা কফির তিক্ততা অনেকটা কমিয়ে আনবে। 

জলের পাইপ পরিস্কার করতে :-অনেক সময় রান্নাঘরের সিঙ্কে বা বেসিনের পাইপে ময়লা জমে জল যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ডিমের খোসা খুব মিহি গুড়ো করে সিঙ্কে বা বেসিনের ছাঁকনির মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর বেশি করে জল ঢেলে দিন। দেখবেন পাইপের ময়লা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে।

ব্যাথা কমাতে:- একটি পাত্রে অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভাল করে গুড়ো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ অন্তত ২ থেকে ৩ দিন রেখে দিলে দেখবেন ডিমের খোসাগুলো ভিনিগারের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে মালিশ করুন।  দেখবেন ব্যাথা কমে যাবে। 

এছাড়াও ত্বকের চুলকানি, ইনফেকশন দূর করতে ও রুপচরচার ক্ষেত্রে ও কাজে লাগে।