শিলিগুড়িতে রবিবাসরীয় সকালে রুদ্ধশ্বাস নাটকের পর জালবন্দি চিতাবাঘ!

সাম্প্রতিককালে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়নি শিলিগুড়ি। পাশেই টুকুরিয়া জঙ্গল। চা বাগান। চিতাবাঘের আনাগোনা কম নয়। ওপারে নেপালের কাঁকড়ভিটা। কিন্তু একেবারে মগডালে বাঘ মামা, সেটা কে জানতো! রবিবাসরীয় সকালটা চিতা নিয়েই কেটে যায় সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। খবর যায় বন দফতরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনবিভাগের কর্মীরা।
এ দিকে এলাকা ঘিরে রাখে এসএসবি জওয়ানরা। উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পৌঁছয় বন দফতরের স্পেশ্যাল স্কোয়াড। পাশের টুকুরিয়া জঙ্গল নাকি নেপাল থেকে চিতাবাঘ এসেছিল তা নিয়ে ধন্দে বন দফতরও। ঘটনাস্থলে স্কোয়াডের কর্মীরা পৌঁছনর পর প্রথমে চকলেট বোম ফাটায়। তাতেও নামানো যায়নি। তারপর গাছ কাটার প্রক্রিয়া শুরু করে।
গাছ কাটতেই মগডাল থেকে লাফ চিতার! তারপর দে ছুট...। ততক্ষনে কেটে গিয়েছে তিন ঘন্টা! একদিকে চিতার দৌড়, পেছনে তখন কয়েকশো মানুষের ধাওয়া। কিছু দূর যেতেই হাপিয়ে ওঠে চিতা! পাশের এক ঝোপে ঘুমিয়ে পড়ে। সেই সময়ে আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে বন দফতরের স্পেশ্যাল স্কোয়াড। চারপাশ ঘিরে ফেলে স্পেশাল স্কোয়াডের বন কর্মীরা। ধীরে ধীরে জালবন্দী করা হয় চিতাবাঘটিকে।
সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় টুকুরিয়া বিট অফিসে। তখন সে ক্লান্ত! টুকরিয়া বনবিভাগে আনার পর খাঁচা বন্দী করা হয় চিতাবাঘকে। তারপর সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হবে। পশু চিকিৎসকেরা সবুজ সংকেত দিলেই ছাড়া হবে পার্কের লেপার্ড এনক্লোজারে। কয়েক দিন সেখানেই বন কর্মীদের নজরবন্দি রাখা হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।