নিউ ইয়র্কে হামলার শিকার ভারতীয় বংশদ্ভূত লেখক সলমান রুশদি

নিউ ইয়র্কে হামলার শিকার ভারতীয় বংশদ্ভূত লেখক সলমান রুশদি

নিউ ইয়র্কে হামলার শিকার ভারতীয় বংশদ্ভূত লেখক সলমান রুশদি। তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলেই জানা যাচ্ছে। এদিন নিউ ইয়র্কে ভাষণ দেওয়ার সময় আচমকাই তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। আপাতত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন তিনি। সলমান রুশদির উপর এই হামলার পর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

এই টুইটে ‘নির্বাসিত’ লেখিকা লিখেছেন, “এই মাত্র খবর পেলাম সলমান রুশদির উপর নিউ ইয়র্কে হামলা চালানো হয়েছে। আমি কখনও ভাবতেও পারিনি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটবে। ১৯৮৯ সাল থেকে তাঁকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল।" তিনি আরও জানান, সলমান রুশদির উপর হামলায় তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শতকা ইন্সটিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠার সময় হামলা চালানো হয় রুশদির উপর।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঞ্চে ওঠার সময় বুকারজয়ী লেখক রুশদির উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন হামলাকারী। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার ছুরির কোপ বসানো হয় লেখকের ঘাড়ে-বুকে-পেটে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের তরফে রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ২৪ বছর বয়সি হামলাকারী হাদি মাতারকেও। আপাতত পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন অভিযুক্ত।

 সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও, মনে করা হচ্ছে রুশদির লেখা বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর কারণেই হামলা চালানো হয়েছে ৭৫ বছর বয়সি লেখকের উপর। এই বইয়ের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানাও জারি করে ইসলামি কট্টরপন্থী সংগঠন। ওই বইয়ের কারণে নব্বইয়ের দশকে ইটালির মিলানেও রুশদির উপর হামলা চালানো হয়। এমনকি, এই বইয়ের জাপানি অনুবাদক হিতোসি ইগারাসিকেও ছুরি মেরে খুন করা হয় টোকিয়োর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।