বোমা ফাটিয়ে দল ছাড়লেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা

তৃণমূলে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে প্রার্থী অসন্তোষ। শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। একটা সময়ে যদিও তা রাস্তায় নেমে আসে। এই অবস্থায় নতুন করে তালিকা প্রকাশ করা হয়। খুবই গোপনে সেই তালিকা পৌঁছে যায় জেলা সভাপতিদের কাছে। কিন্তু এরপরেও অসন্তোষ থামানো যায়নি। শনিবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়ে।
এমনকি কিছু কিছু জায়গাতে রীতিমত লাঠি চার্জ করতে হয়। আর এই অবস্থায় যখন কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা, সেই সময়ে বোমা ফাটিয়ে দল ছাড়লেন তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী নেতা। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূলের। দল ছাড়লেন পুরুলিয়া পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান শামিম দাদ খান। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিসাবেও তাঁর কাঁধে ছিল দায়িত্ব। এবার তাঁর প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু দল তাঁকে এবার প্রার্থী না করায় চরম ক্ষুব্ধ এই নেতা। আর এরপরেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। শুধু তিনিই নয়, তাঁর ছেলে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল দাদ খানও এদিন তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রাক্তন কাউন্সিলার ছিলেন। এছাড়াও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শাকিল দাদ খানও এদিন তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন শামিম দাদ।
তাঁর টিকিট না পাওয়ার জন্যে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকেই দায়ি করেছেন তিনি। শামিমের মতে, তৃণমূল এখন পিকেমুল হয়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শামিম আরও জানিয়েছেন, আমি দীর্ঘদিন ধীরে রাজনীতি করে আসছি। ছয়বার কাউন্সিলার হয়েছি, দুবারের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করে এসেছি। আমার এবং পরিবারের বিরুদ্ধে বড়সড় ষড়যন্ত্র হয়েছে বলেও এদিন তোপ দাগেন প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা।
তবে আগাদিনে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন কিনা এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শামিম দাদ বলেন, আমি উঠে দাঁড়াব এবং জিতে আসব। অন্যদিকে, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বদলে গেল তৃণমূল পার্টি অফিসের ছবিটা। কাঁথি পুরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। গত কয়েকদিন ধরে সেখানেও প্রার্থী অসন্তোষ চলছে। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের দলীয় অফিস থেকে জননেত্রী ছবি সরিয়ে দেন। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দেয়। রাতারাতি তৃণমূলের দলীয় অফিস হয়ে গেল নির্দল অফিস।