বাসন্তী বিস্ফোরণে উদ্ধার আহত যুবক

বোমা বিস্ফোরণের (Basanti Bomb Blast) পর ঝলসে গিয়েছে তাঁর হাত-মুখ। জ্বলন্ত বাড়ি থেকে কোনওক্রমে বেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ধরা পড়লে গ্রেফতারির ভয় তাড়া করেছিল তাঁকে। কিন্তু পালাতে পারেননি। ধান ক্ষেতের মধ্যেই পড়েছিলেন টানা ৬ ঘণ্টা। সেটা নজরে পড়ে গ্রামবাসীদের। বাসন্তীকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এক জন আহতকে উদ্ধার করা হল ধান ক্ষেত থেকে।
তাঁর শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। জানা যাচ্ছে, তাঁর নাম ফারুক সর্দার। মঙ্গলবার সকালে আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামেক ১১ নম্বর সর্দার পাড়া গ্রাম। গ্রামবাসীরা তখন যে যাঁর কাজে ব্যস্ত।
শব্দের উৎস সন্ধানে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন, প্রতিবেশী হামিউদ্দিন সর্দার ও মফিজউদ্দিনের বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে বাড়ির দেওয়াল। খড়ের চাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। কিছুক্ষণ পর আগুন নেভানো হয়। প্রথমে আহত কেউ রয়েছেন কিনা, তার খোঁজ মিলছিল না।
পরে ধান ক্ষেতের মধ্যে থেকে উদ্ধার হন ফারুক। ঝলসে গিয়েছেন তিনি। উপুড় হয়ে পড়ে ছিলেন ক্ষেতের মধ্যেই। গোঙাচ্ছিলেন। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি স্পর্শকাতর এলাকা। এর আগেও গোলাগুলি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। আগেও এই এলাকা নিয়ে সতর্ক থাকতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু তারপরও কীভাবে ওত বোমা মজুত হল ওই এলাকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
বাসন্তীর একাধিক এলাকা স্পর্শকাতর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যুব তৃণমূল যাঁরা করেন, তাঁরাই মূলত বোমা বাঁধছিলেন। তা থেকেই বিস্ফোরণ। এর আগেও ওই এলাকায় খুন হয়েছে। নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর জন্য বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।