মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে বদলে যাবে ভাগ্য, হতে পারেন কোটিপতি! জানুন কী ভাবে

কলকাতা: যাঁরা অর্থ সঞ্চয়ের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন কিন্তু লগ্নির নিয়ম ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁদের জন্য এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায় কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ড মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
১৫ x ১৫ x ১৫ নিয়ম কী?
মিউচুয়াল ফান্ডের এই SIP বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে বিনিয়োগে একজন লগ্নিকারী প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে কোটি টাকা পর্যন্ত রিটার্ন পেতে পারেন। এই নিয়মে বলা রয়েছে, যদি কোনও বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করেন তবে বার্ষিক ১৫% পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে।
অর্থাত্, ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে লগ্নিকারির এক কোটি টাকা পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও, মিউচুয়াল ফান্ড ক্যালকুলেটারের (Mutual Fund Calculator) হিসেব অনুযায়ী, কোনও বিনিয়োগকারী যদি ১৫ বছর পর্যন্ত বার্ষিক ১৫% রিটার্নের স্টেপ-আপ ধরে রাখতে পারেন তবে মেয়াদ শেষে পাওয়া রিটার্নকে দ্বিগুণ করতে পারেন। অর্থাত্, ১৫ বছর পর ম্যাচিউরিটির সময় কোনও বিনিয়োগকারীর রিটার্ন ১ কোটি টাকা হলে সেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে ২ কোটি বা তার বেশিও রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে।
নিচে একটি উদাহরণ দেওয়া হল-
যদি কোনও ব্যক্তি ১৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে SIP-তে বিনিয়োগ করেন তবে মেয়াদ শেষে মোট লগ্নির পরিমাণ দাঁড়াবে ২৭ লক্ষ টাকা। এর পর যদি বার্ষিক রিটার্নের পরিমাণ ১৫% ধরে নেওয়া হয় তবে ১৫ বছর পর আনুমানিক মোট ৭৪,৫২,৯৪৬ টাকা রিটার্ন হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।
এক দিকে আমাদের হাতে পড়ে থাকল মোট লগ্নির ২৭ লক্ষ টাকা এবং অন্য দিকে রিটার্ন ৭৪,৫২,৯৪৬ টাকা। এবার এই দুই অর্থ রাশিকে যোগ করে দিলে মেয়াদ শেষে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে পাওয়া মোট টাকার পরিমাণ হবে ১,০১,৫২,৯৪৬ টাকা। এই কারণেই ১৫ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করলে লগ্নিকারী কোটিপতি পর্যন্ত হতে পারেন।