রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিতে নজর সেচ মন্ত্রীর

প্রবল বর্ষন ও ডিভিসি জল ছাড়ার কারনে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। যাঁর ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে রাজ্যের তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। গতকাল দুর্গাপুর ব্যারেজ ২লক্ষ ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে আজকে তা কমে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার জল ছাড়ে। উদ্বেগ বাড়িয়ে বলেন যে জল ছেড়েছে তার এফেক্ট এখনও পাওয়া যায়নি, খানাকুল, উদয়নারায়নপুর, আমতা ১ ও ২ এলাকা গুলিতে বন্যার এফেক্ট পড়বে।
আমরা আগে বর্ষনের থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম, পর কতটা জল বাড়ে তাঁর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি ,যে হারে জল বাড়ছে রাতারাতি নদীর বাঁধের উচ্চতা এই মুহূর্তে বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, বাঁধ টপকে জল যাবে তবে জনগনকে সজাগ করা হয়, পাশাপাশি ত্রান শিবিরও খোলা হয়েছে । দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, বাঁকুড়া এলাকায় জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক।
আজ তা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার কিউসেক। যে কারনে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করেছিলাম তবে জলের গভীরতা কমেছে। শিকাটিয়া ব্যারেজ থেকে ৯০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলে অজয় নদী দিয়ে বীরভূমের নানুর এফেক্ট হয়েছে। আজ তা কমে ৮০ হাজার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নানুরে তেমন ভয়ঙ্কর রূপ নেয়নি। কংসাবতী ব্যারেজের জল অনেকটা কমেছে, তবে ঘাটাল, পাঁশকুড়া, ময়না,দুর্গাঝুটি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে, তবে এখনও পর্যন্ত বাঁধগুলি ঠিকঠাক রাখা গিয়েছে।
আরামবাগের কয়েকটা ব্রীজ ভেঙে গন্ধেশ্বরী নদীর জল এলাকা প্লাবিত করেছে বন্দর এলাকা, খানাকুল ঘাটালে জলস্তর বাড়তে পারে। সার্বিক ভাবে এখনও পর্যন্ত নদীবাঁধ গুলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরও বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি কোন জায়গায় যাবে তা বলা মুশকিল। বৃষ্টি যদি বন্ধ হয় এবং বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রী নিজে সতর্ক করেছে ব্যারেজগুলিক যাতে নিয়ন্ত্রনে রেখে জল ছাড়া হয়।
ঝাড়খণ্ড এলাকায় যদি প্রবল বর্ষন হয় তবে মারাত্মক আকার ধারন করবে, বন্যা পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা এখনও বলা মুশকিল। তবে সেচ দপ্তরের সমস্ত আধিকরিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রত্যেকে সতর্ক হয়ে কাজে নিয়োজিত আছে। আরামবাগ ঘাটালে পর্যাপ্ত পরিমানে শুকনো খাওয়ার ও ত্রিপল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দুর্গত এলাকায়, ইতিমধ্যে সেনা বাহিনী নামানো হয়েছে। বাড়ি থেকেই দফায় দফায় কনফারেন্সের মাধ্যমে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করছেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।