লন্ডনে জগন্নাথ মন্দির

লন্ডনে জগন্নাথ মন্দির

লন্ডনের মাটিতে তৈরি হবে জগন্নাথদেবের মন্দির। এটিই হতে চলেছে ব্রিটেনের মাটিতে প্রথম জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই মন্দিরটি নির্মিত হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের মধ্যেই মন্দিরের প্রথম পর্বের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে। ১৫ একর জমিতে ওই মন্দির তৈরি করা হবে। পরিকল্পনাও পাকা হয়ে গিয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির নির্মাণের ঘোষণাও করা হয়েছে।

এই উপলক্ষে জগন্নাথ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেন ৬০০-রও বেশি ভক্ত। আর সেই উদ্দেশ্যেই এবার ২৫০ কোটি টাকা ইউকে চ্যারিটি ফান্ডে দান করলেন এক ওড়িশি শিল্পপতি। ওড়িশার শিল্পপতি বিশ্বনাথ পট্টনায়েক জানান, তিনি ইউকে চ্যারিটি ফান্ডে ২৫০ কোটি টাকা দান করবেন।

লন্ডনের বুকে জগন্নাথ মন্দির গড়ে তুলতেই এই দান করছেন তিনি। প্রসঙ্গত এই প্রথম কেউ বিদেশের মাটিতে মন্দির গড়তে এত বড় অঙ্কের টাকা দান করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এই ঘটনা। একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পট্টনায়েক ফিননেস্ট গ্রুপ অফ কোম্পানিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা।

প্রসঙ্গত, বিনিয়োগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এই সংস্থার তরফে ২৫০ কোটি টাকা দানের কথা জানানো হয় একটি সম্মেলনে। সেখানেই শ্রী জগন্নাথ সোসাইটি ইউকে-কে এই বিষয়ে জানান বিশ্বনাথ পট্টনায়েক। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই একই সংস্থার আরেক কর্তাও ইতিমধ্যে মন্দিরের জন্য একটি বড় অঙ্ক দানের কথা বলেছেন। ফিননেস্ট গ্রুপ অফ কোম্পানিজের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অর্জুন কর মন্দিরের জন্য ১৫ একর জমি কিনতে ৭০ কোটি টাকা দেন। লন্ডনের শহরতলি এলাকায় কেনা হবে সেই জমি।

মন্দির নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায় অবশ্য এই বছর শুরু হচ্ছে না। ২০২৪ সালের শেষ দিকে শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। শ্রী জগন্নাথ সোসাইটির প্রধান সহদেব সাই এই দিন সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, এই মন্দির হলে ইউরোপে প্রভু জগন্নাথ সম্পর্কে অনেকেই অবগত হবেন। প্রভু জগন্নাথের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হবে সারা ইউরোপের।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণ শেষ হলে সারা বিশ্বের পর্যটকরা এই মন্দিরে আসবেন। পৃথিবীর অন্যতম পর্যটনের আকর্ষণ হয়ে উঠবে এই তীর্থক্ষেত্র। প্রসঙ্গত তিন বছর আগে অক্ষয়তৃতীয়ার দিন ব্রিটেনের শ্রী জগন্নাথ সোসাইটির প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পরেই চ্যারিটি কমিশনে রেজিস্টার করা হয় এই সোসাইটিকে। তারপর থেকেই শুরু হয় মন্দিরের জন্য অর্থ সংগ্রহ।