শিশু সাথী প্রকল্পে ভুল চিকিৎসার জেরে পর মৃত্যু হল জান্নাতুন ফিরদৌসিরের

শিশু সাথী প্রকল্পে ভুল চিকিৎসার জেরে পর মৃত্যু হল জান্নাতুন ফিরদৌসিরের

মরেই গেল জান্নাতুন। ভুল চিকিৎসার জেরে পঙ্গু হয়ে টানা সাত বছর লড়াই চলেছে বীরপাড়ার মধ্য রাঙ্গালিবাজনার বাসিন্দা জান্নাতুন ফিরদৌসির। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ Alipurduar আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ২০১৫ সালে ক্যাম্প করে শিশু সাথী প্রকল্পে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় জান্নাতুনদের স্কুলে। পরীক্ষায় জান্নাতুনের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে।

চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। জান্নাতুনকে নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ার হিমাচল বিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তার অস্ত্রোপচারের পরই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে জান্নাতুন। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ পঙ্গু হয়ে পড়ে সে। গত সাত বছর বিছানাতেই কেটেছে তার। মেয়েকে নিয়ে এই হাসপাতাল ওই হাসপাতাল ঘুরে বেড়িয়েছেন বাবা আমজাদ শেখ।

হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন জান্নাতুনের বাবা আমজাদ শেখ। কলকাতা হাইকোর্টে জান্নাতুনের হয়ে মামলা দায়ের করেছেন দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্ট লিগাল এইডের সম্পাদক অমিত সরকার। সেই মামলার বিচার চলছে। এরই মধ্যে জান্নাতুনের ভুল চিকিৎসার বিষয়টি স্বীকারও করে নেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

কলকাতার এসএসকেএমে দীর্ঘদিন তার চিকিৎসা চলে। ২০১৯ সালে এসএসকেএমও জানিয়ে দেয় জান্নাতুন আর ঠিক হবে না। মেয়েকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারে ফিরে আসেন বাবা আমজাদ শেখ। তখন থেকেই সে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল। তিনদিন হল তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় জান্নাতুনের। এই ঘটনায় শিশু সাথী প্রকল্পে চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে চিকিৎসা করিয়ে আরও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।