টগর গাছে ফুটল জবা ফুল, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!

টগর গাছে ফুটল জবা ফুল, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!

টগর গাছে ফুটল জবা! প্রশ্নটা যতই হাস্যকর মনে হোক উত্তরটা কিন্তু ‘হ্যাঁ’। সবাইকে অবাক করে দিয়ে, পূর্বস্থলীর কৈবর্ত্যপাড়ার এক গৃহস্থের বাড়ির টগরগাছে জ্বলজ্বল করছে জবা ফুল। আর সেই বিস্ময়কর ঘটনা দেখতে ভিড় জমছে বাড়ির সামনে। কীভাবে বিজাতীয় ফুল ফুটল টগর গাছে? কোনও অলৌকিক শক্তি নাকি নেহাতই বিজ্ঞানের জারিজুরি? কীভাবে ঘটল এমন কাণ্ড?

 রবিবার সকালে বাড়ির কর্ত্রী পার্বতী ঘোষ পুজোর জন্য টগর গাছ থেকে ফুল তুলছিলেন। সাদা টগর ফুল তুলতে-তুলতে ওই গাছেরই একটি ডালে ফুটে থাকা জবা ফুলটি তাঁর নজরে আসে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, এটা হয়তো ছোটদের কাজ। কিন্তু পরে সেই ফুলে হাত দিতেই তিনি দেখেন, যা ভাবছেন তা ঠিক নয়। জবাফুলটি ওই গাছের ডালেই ফুটে রয়েছে।  বিস্ময়কর এই ঘটনায় তিনি চমকে যান।

এর পরই তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডাকেন। বিস্ময়কর ঘটনার কথা মুখে মুখে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে এমন দৃশ্য কে না দেখতে চায়? এক ঝলক সেই ফুলের দেখা পেতে সকাল থেকেই ওই বাড়ি সামনে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।  পার্বতী ঘোষ বলেন, “সকালে ফুল তুলতে গিয়ে দেখি একটি ডালে জবাফুল রয়েছে। আগে এইরকম ঘটনা ঘটেনি।” বাড়ির আর এক সদস্য রাখি ঘোষ বলেন, “প্রথমবার এইরকম এক ঘটনা সত্যিই আশ্চর্যের। এইরকম আগে কোনওদিন দেখিনি।

আর তা দেখতেই দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসছেন।” প্রতিবেশীদের একাংশের মতে, ঈশ্বরের দান এই ফুল। ফুলের মাধ্যমেই বার্তা পাঠিয়েছেন ঈশ্বর। যদিও তাঁদের সে কথা মানতে নারাজ বিজ্ঞান মঞ্চ। কালনার বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য তাপসকুমার কার্ফার মতে, “ওই বাড়ির গাছে টগর-জবা গাছের কলম করানো হয়েছিল। তাই এরকম ফুল ফুটেছে।” যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের কথা মানতে নারাজ পরিবার। ব্যাখ্যা, পালটা ব্যাখ্যা, আলোচনা, গুঞ্জন তো থাকবেই। কিন্তু এসব ছাপিয়েও এখন সবারই মনে কৌতূহল। আর তাই গল্পের মতো সত্যি এই বিস্ময়কর ঘটনা চাক্ষুষ করতে বাড়ির সামনে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের বাসিন্দারা।