করিমপুরের লাথি এখন অতীত , জয়প্রকাশ এখন তৃণমূলে

করিমপুরের লাথি এখন অতীত , জয়প্রকাশ এখন তৃণমূলে

রাজ্যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ‘সেই দিন’। করিমপুরের BJP প্রার্থী ঘিয়াঘাট এলাকায় ভোট লুঠের অভিযোগ পেয়েছিলেন (সেই মুহূর্তে BJP এই দাবি করেছিল)। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পিপুলখোলার গিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে যেতেই জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর হঠাৎ ‘হামলা’। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁকে লাথি মেরে ঝোপে ফেলে দেয় এক দুষ্কৃতী।

ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল BJP। এই ঘটনায় তারিকুল শেখ-সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল গেরুয়া শিবির। BJP অভিযোগ করেছিল, এই ঘটনায় যুক্ত ছিল তারেক সহ তৃণমূলের নেতারাই। যদিও পুরো ঘটনাটি গ্রামবাসীর রাগের আস্ফালন বলে দাবি করেছিল তৃণমূল।

উপনির্বাচনে একচেটিয়া জয় পেয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। করিমপুরের ঘিয়াঘাটের ৩২ নম্বর বুথে জয়প্রকাশ মজুমদার পেয়েছিলেন মাত্র ২ টি ভোট। মঙ্গলবার, নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। যোগদানের সঙ্গে সঙ্গে পেলেন পদও। তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি করা হচ্ছে।

জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগদানের ছবি সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে দেখতে পেয়েছেন করিমপুরের তৃণমূল নেতারাও। এরপর তাঁদের কী প্রতিক্রিয়া? “জয়প্রকাশবাবু দলে অবশ্যই আসতে পারেন। নেত্রী যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার বাইরে কোনও কথা হবে না।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “পরবর্তীতে জয়প্রকাশ মজুমদার করিমপুরে এলে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হবে। দেওয়া হবে যোগ্য সম্মান।” অতীত প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই রাজু বলেন, “ সেই সময় BJP প্রার্থী হিসেবে জয়প্রকাশ মজুমজারের কিছু কাজের জন্য এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছিল। ওই ঘটনায় তাদের রাগ এবং ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। আজ তিনি দলে যোগদান করেছেন। তাঁকে স্বাগত জানাই। একসঙ্গে কাজ করব।”