হোলিতে মদ্যপ স্কুটি চালকের করুণ আবদার পুলিশের কাছে

হোলিতে বেলা বাড়তেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরে বাড়ল মদ্যপ বাইকারদের দৌরাত্ম্য। একাধিক জায়গা থেকে এল নানা অভিযোগ। খবর গেল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসির কাছে। মাঠে নামল পুলিশ। বড় দল নিয়ে রাস্তায় নামেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার এবং ওসি ট্রাফিক বাপ্পা সাহা। শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টের মাধ্যমে বাইক চালকরা মদ্যপ কিনা তা পরীক্ষা করা শুরু হয়।
সূত্রের খবর, এদিন থানা মোড় এলাকায় চেকিংয়ের সময় এক মদ্যপ স্কুটি চালককে পাকড়াও করে পুলিশ কর্মীরা। এদিকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েও তখনও হুঁশ ফেরেনি ওই স্কুটি চালকের। বলতে থাকেন, ‘এক পেগ খেয়েছি। আমায় ছেড়ে দিন।’ কিন্তু, তাঁর আবদারে কান দেননি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। তাঁকে ছড়াও ধরা হয় আরও একাধিক মদ্যপ বাইক চালককে।
একের পর এক মদ্যপ বাইক চালকদের আটকে তাদের বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়। করা হয় জরিমানা। আই সি অর্ঘ্য সরকার স্পষ্টতই জানিয়েছেন আইন বিরুদ্ধ কাজ কোনও অবস্থায় বরদাস্ত করা হবে না। বেশ কিছু মদ্যপ বাইকারকে আটক করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এদিন পুলিশের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসীরা। সকাল থেকে ধরপাকড় শুরু হলেও এখনও তা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০ জনের বিরুদ্ধে ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভের কেস দেওয়া হয়েছে বলে জানা হয়েছে। করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। বুধবার প্রত্যেককেই বাইক নিতে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।