কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পেতে চোখ রাখুন এই বিষয়গুলিতে

আজবাংলা কর্মক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য যদি হয় মইয়ের প্রতিটি সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরোহণ করা; তাহলে প্রতিটি ধাপেই আপনাকে কিছু না কিছু শিক্ষা নিতে হবে, যেটি আপনার পরবর্তী ধাপের কাজের হবে।
অর্থাৎ, নীচের গুণগুলির কোনো একটিকে যদি অতি গুরুত্বের সাথে একেবারে মেপে মেপে প্রয়োগ করতে চান, তাহলে পুরো ব্যবস্থাটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। এই গুণগুলির কোনো একটিকেই অন্যগুলোর চেয়ে বেশি বা কম দরকারি ভাবার অবকাশ নেই।
১. সাহসিকতা- জীবন সবসময় আপনার অনুকূলে থাকবে না। ঢেউহীন সমুদ্র কখনও দক্ষ নাবিক তৈরি করে না। সংকটময় মুহূর্তে, সহকর্মীদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কখনও কখনও আপনাকে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যের দিকে নিশানা করে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাজার ব্যবস্থা যখন একেবারেই ধ্বংসের মুখে কিংবা বিপণনে যখন একের পর এক শূন্য ফলাফল- তখন আত্মবিশ্বাসী নাবিকের মতো ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতাই হয়তো আপনাকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।
২. সমন্বয়- প্রতিটি মানুষ সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের। কাজের ধরন, চিন্তা-ভাবনা, কাজের গতি, দূরদর্শিতা- কর্মক্ষেত্রের সকল মাপকাঠিতেই প্রতিটি মানুষ একে অন্যের চেয়ে হয় এগিয়ে অথবা পিছিয়ে। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সকল ব্যক্তিই আবশ্যিক গুণাবলীর আদর্শ প্রতিনিধিত্ব করেন না।
অর্থাৎ, আপনার দুর্বলতা হয়তো বা আপনার কোনো একজন সহকর্মীর শক্তির জায়গা। ঠিক একইভাবে আপনার একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় দিক হয়তো অন্য কারও মাঝে অনুপস্থিত।
৩. প্রতিযোগিতা- এগিয়ে যান, নিজেকে বা সহকর্মীদেরকে ছাড়িয়ে যান, চূড়ায় পৌঁছে যান- কোনো সমস্যা নেই তাতে। তবে এই যাত্রাটা যাতে অন্যের ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে না হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে 'আমার আমি'র সাথে, আর এ যাত্রায় পাশের মানুষগুলোর সাহায্যটা যেমন দরকার হয়, তেমনি আপনারও কর্তব্য সময়ানুযায়ী সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
৪. কৌতূহল- কাজের প্রতি আপনার ত্যাগের পূর্ণতা আসবে, যদি আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে আপনি যথেষ্ট পরিমাণে কৌতূহলী হন। যেকোনো একটি প্রজেক্ট কীভাবে কাজ করে, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব কী, ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতি আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থান কীরকম ইত্যাদি।
নানা বিষয়ের অভ্যন্তরীণ খুঁটিনাটি সম্পর্কে আপনার সত্যিকারের আগ্রহ থাকলে কাজটি সম্পর্কে আপনি অনেক বেশি ওয়াকিবহাল হবেন, যাতে করে যেকোনো বিষয় দ্রুততার সাথে শিখে নেওয়া আপনার জন্য সহজ হবে। কৌতূহল শুধু একমুখী, নয় বরং বহুমুখী সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়।