ঈদে পালনে দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত কেরল সরকারের| চিকিত্সকরা সুপ্রিম কোর্টে

ঈদে পালনে দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত কেরল সরকারের| চিকিত্সকরা সুপ্রিম কোর্টে

.

 দেশের সর্ববৃহত্‍ চিকিত্‍সক সংগঠন আইএমএ-র (ima) তরফ থেকে রবিবার কেরল সরকারে (kerala govt) হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কেরল সরকারের তরফে বকরি ঈদের ( bakrid) জন্য লকডাউনে তিনদিনের ছাড় (lockdown relaxation) দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে তারা আইএমএ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে। আইএমএ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি কেরল সরকার বকরি ঈদে লকডাউনে তিনদিনের ছাড়ের ঘোষণা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন।

আইএমএ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী কোনও জমায়েতের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। সেই পরিস্থিতিতে কেরলে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও সরকারের সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। আইএমএ আরও বলেছে, এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সরকার অনেক তীর্থযাত্রা বাতিল করেছে। প্রসঙ্গত উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লি সরকার কানোয়ার যাত্রা বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। কেরল সরকার রাজ্যে লকডাউনে তিনদিনের ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

যা শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। রাজ্য কোভিড মোকাবিলায় যথার্থ আচরণবিধি কার্যকর না করে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের রাশ টেনে ধরায় মডেল হয়ে না উঠলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে তারা। বিজয়ন সরকারের লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্তকে চলতি মেডিকেল জরুরি পরিস্থিতিতে অবাঞ্ছিত, ভ্রান্ত আখ্যা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএ বলেছে, অবিলম্বে সরকারি আদেশ প্রত্যাহার করে কোভিড আচরণবিধি পালনের প্রশ্ন জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করতে হবে।

রাজ্য তথা দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিধিবদ্ধ কর্তব্য পালনের দায়িত্ব থেকে প্রশাসনকে বিচ্যুত না হতে কেরল সরকারকে আবেদন করেছে আইএমএ। বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভারতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির অন্যতম কেরলে এপর্যন্ত ৩০ লাখের বেশি কেস এসেছে, মারা গিয়েছেন ১৫ হাজার ২৬৯ জন। শনিবার রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬১৪৮ জন, যা এক মাসে এখনও অবধি সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। অথচ তার মধ্যেই রাজ্য সরকার ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই বকরী ইদে লকডাউন বিধিনিষেধে ছাড় ঘোষণা করেছে।

আইএমএ বলেছে, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও জম্মু কাশ্মীরের মতো উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যই বেশ কিছু প্রথা, ঐতিহ্যমন্ডিত তীর্থযাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল, কেরল বিধিনিষেধ শিথিল করতে রাজি হয়েছে, যার ফলে প্রচুর লোকের জমায়েত হবে। প্রসঙ্গত, কোভিড ১৯ মহামারী ছড়ানো রোধে কাঁওয়ার যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ সরকার।