নববর্ষের সকালে ১০ মিনিটে তছনছ কোচবিহার

নববর্ষের সকালে ১০ মিনিটে তছনছ কোচবিহার

আগাম কোনও পূর্বাভাস সে অর্থে ছিল না। সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার আকাশের মুখ ছিল ভার। কিন্তু নববর্ষের সকালেই ভয়ঙ্কর খেলায় মাতল প্রকৃতি। একটা গোটা গ্রামকে শেষ করতে সময় নিল মাত্র ১০ মিনিট। কাড়ল প্রাণও। আলিপুরদুয়ারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হয় এক মহিলার। কোচবিহারেও সেই একই ঘটনা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। সকাল ন’টার একটু পর থেকেই শুরু হয় ঝোড়ো বাতাস। রাস্তা ছেড়ে দৌড়ে আস্তানা খুঁজতে শুরু করেন রাস্তায় সে সময়ে যাঁরা কাজে বেরিয়েছিলেন। বৈশাখের শুরুর দিনই বাতাসের গতিবেগ বাড়িয়ে আরও রোষ প্রকাশ করতে থাকে প্রকৃতি। ১০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা।

গাছ উপড়ে পড়ে বহু। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয় এক ব্যক্তির। নববর্ষের সকালেই ভয়াবহ পরিস্থিতি কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর আশ্রম পাড়া এলাকা। গুরুতর আহত অনেকে। যাঁরা আহত, ঝড়ের সময়ে তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন, কেউবা বেরিয়েছিলেন কাজে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তাঁদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাপাতালে চিকিত্‍সাধীন। ঝড়ে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তুফানগঞ্জের একটা গোটা গ্রাম। সেখানে কার্যত প্রত্যেকটা বাড়িই আংশিক কিংবা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই সেখানকার মানুষের । গতকাল রাত ৯ টার পর বৃষ্টির নামে। সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো বাতাস। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতিবেগও।

বারোবিশা – রামপুর রাজ্য সড়কের ওপর একাধিক গাছ উপড়ে পড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সকালে ঝড়ের দাপটে উপড়ে পড়ে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটিও। উড়ে যায় ঘরের টিন।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। রাস্তার ধারে ঝুপড়িতে থাকতেন তিনি।

ঝড়ে ঝুপড়ি ভেঙে পড়ায়, চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধার কাজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলকর্মীরাও। ঝড়ের তাণ্ডবে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বিডিও প্রসেনজিত্‍ কুন্ডু-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।