বিলেত জয়ের প্রস্তুতিতে নিভৃতবাসে জিমে নেমে পড়লেন কোহলী, রহাণেরা
ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেট। বাইরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়, দেশের মাঠে ইংরেজদের হারানো - সব মিলিয়ে সপ্তম স্বর্গে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু অধিনায়ক বিরাট কোহলি সাবধান যেন ড্রেসিংরুমে কোনওভাবেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস প্রবেশ করতে না পারে। এর ফল যে কতটা মারাত্মক হতে পারে তা তিনি বিলক্ষণ জানেন। ১৯ মে থেকে নয়, বরং গত ২৫ মে মুম্বইয়ের টিম হোটেলে ঢুকেছিলেন বিরাট কোহলি, অজিঙ্ক রাহানে, রোহিত শর্মা ও মুখ্য প্রশিক্ষক রবি শাস্ত্রী।
কয়েকদিনের নিভৃতবাস কাটিয়ে সোমবার থেকে শারীরিক কসরত শুরু করে দিলেন ভারত অধিনায়ক। শুধু শারীরিক কসরত নয়, ভারতীয় দলের বোলারদের সুবিধার জন্য জিমে হাত ঘোরানোর জায়গাও রয়েছে। সেই ভিডিয়ো টুইটারে তুলে ধরেছে বিসিসিআই। টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সহাকারী প্রশিক্ষক সোহম দেশাই বলেন, 'গত আইপিএল থেকে এখনও পর্যন্ত পরপর ক্রিকেট খেলে ক্রিকেটাররা ক্লান্ত ছিল।
তবে গত কয়েকদিনের ছুটি ও এই নিভৃতবাসকে সবাই খুব ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। এরপর নিভৃতবাসের সপ্তম থেকে নবম দিন পর্যন্ত সব ক্রিকেটার নিজের ঘরেই শারীরিক কসরত করেছে। কার কোথায় দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো নিয়ে নেট মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। গত দু' দিন ধরে জিমে সবাই একজোট হয়ে কসরত করছে। হোটেলে বন্দি থাকলেও এখানে বোলারদের হাত ঘোরানর সুযোগ রয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে আগামী মাসে বিলেতে জোড়া সফরের জন্য বিসিসিআই কোনও খামতি রাখতে চায় না।
আমরাও বিলেত উড়ে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।' শুধু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল জিতলেই চলবে না। এরপর আবার জো রুটের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের লম্বা সিরিজ রয়েছে। তাই কোনও খামতি রাখতে রাজি নন রবীন্দ্র জাডেজা, চেতেশ্বর পূজারা, ময়াঙ্ক আগরওয়ালরা। আগামী ২ জুন ইংল্যান্ড উড়ে যাবে ভারতীয় দল। সেখানে ১০ দিন নিভৃতবাসে থাকলেও মাঠে গিয়ে অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন ঋষভ পন্থ, যশপ্রীত বুমরারা। এরপর ১৮ জুন থেকে কেন উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল খেলতে নামবে বিরাট বাহিনী। তারপর ৪ অগস্ট থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট খেলবে টিম ইন্ডিয়া। লক্ষ্য অবশ্য একটাই। জয় আর জয়। বিপক্ষে যে দলই থাকুক, নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ টিম ইন্ডিয়ার।
