কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর স্পেশাল খিচুড়ি ! জেনে নিন পদ্ধতি

আজ বাংলাঃ বিজয়ার মিষ্টিমুখ আর কোলাকুলি প্রণাম সারতে না সারতেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন শুরু হয়ে গৃহস্তের ঘরে ঘরে। ধনদাত্রী দেবী অন্ন নিবেদন করে তুষ্ট রাখার কাজ চলে এসেছে বছরের পর বছর ধরে।
নারকেল নাড়ু, মোয়া, নিমকি-গজা, চিনির মঠ ও চিনির বাতাসা, নকুলদানা, কদমার পাশাপাশি কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে বাঙালির ঘরে খিচুরি কিন্তু চাইই চাই। নৈবিদ্য, খিচুড়ি ও ভাজাভুজি, লুচি এ পুজোর ইউএসপি। ভোগের সেই খিচুড়ির সুবাস আনতে ঠিক কী পদ্ধতিতে রান্না করবেন দেখে নিন-
উপকরণ:
গোবিন্দভোগ চাল,সোনামুগের ডাল, ফুলকপি, আলু, মটরশুঁটি, আদা বাটা, হলুদ-জিরে-লঙ্কাগুঁড়ো, গোটা শুকনো লঙ্কা, গরমমশলা গুঁড়ো, পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, নুন-মিষ্টি স্বাদ মতো, ঘি
প্রণালী:
- প্রথমে শুকনো খোলায় সোনা মুগের ডাল ভেজে নিন।
- চাল ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
- আলু-ফুলকপি ডুমো করে কেটে নুন-হলুদ মাখিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে তুলুন।
- হাঁড়ি বাঁ কড়াইতে ঘি দিয়ে সেখানে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, শুকনোলঙ্কা, আদা বাটা ফোড়ন দিন।
- সুগন্ধ বেরোলে চাল-ডাল দিয়ে কষাতে থাকুন।
- এরপর হলুদ-জিরে-লঙ্কাগুড়ো দিন। এই সময় মটরশুঁটি দিয়ে কষতে থাকুন।
- নুন-মিষ্টি ও গরম মশ্লা গুঁড়োও দিন।
- কিছুক্ষণ কষানোর পর গরম জল, আলু, ফুলকপি দিয়ে ঢেকে দিন হাঁড়ির মুখ।
- চাল-ডাল নরম হলে, জল টেনে গেলে নামানোর আগে ঘি, গরম মশলা প্রয়োজনে কাজু-কিশমিশ ছড়িয়েও দিতে পারেন।
ভোগ বৈশিষ্ট্যে আলাদা হয় তার স্বাদের জন্য এবং তার মূল কারণ ধুপের গন্ধ। হ্যাঁ ধুপের গন্ধেই বদলে যায় লক্ষ্মী পুজোর খিচুড়ির স্বাদ।