মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মৃত হল কলকাতার বিজেপি নেত্রী তিস্তা বিশ্বাসের

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলকাতা পুরসভার ৮৬ নং ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তথা বিজেপি নেত্রী তিস্তা বিশ্বাসের। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী ও মেয়ে। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বিজেপি নেত্রীর আকস্মিক এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। দলীয় নেত্রীর মর্মান্তিক এই পরিণতিতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তিস্তার কলকাতার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, রাজনীতির পাশাপাশি সমানতালে লেখাপড়াও চালিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতা পুরসভার বিজেপির ৮৬ নং ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাস। পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ার একটি কলেজ থেকে এম.এড-র চূড়ান্ত বর্ষের শংসাপত্র আনতে গিয়েছিলেন তিনি।
স্বামী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতেই গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর। কলেজ থেকে শংসাপত্র নিয়ে কলকাতায় ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিস্তার স্বামী গৌরব। তমলুকের নিমতৌড়িতে ৪১ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। আগে থেকেই ওই রাস্তায় একটি লরি বিকল হয়ে গিয়েছিল। তা দেখে গাড়ির গতি কমিয়েও দিয়েছিলেন তিস্তার স্বামী গৌরব।
তখনই পিছন থেকে সজোরে তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা দেয় একটি তেলের ট্যাঙ্কার। দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁদের গাড়িটি। দুর্ঘটনা দেখেই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।গাড়ি থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বিজেপি নেত্রী তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী ও মেয়েকে। তবে তিস্তাকে গাড়ি থেকে বের করতে পারেননি স্থানীয়রা। শেষমেশ পুলিশ এসে গাড়ির পিছনের সিট থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তিস্তাকে।
দ্রুত তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্সকরা তিস্তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, তিস্তার স্বামী ও মেয়েরও প্রাথমিক চিকিত্সা হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে।প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বিজেপি-র টিকিটে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন তিস্তা বিশ্বাস দাস৷ ২০১০ সাল থেকে বিজেপি-র হয়ে কাজ করছিলেন তিনি৷ তাঁর স্বামী গৌরব বিশ্বাসও বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত৷