সরকারের নজরে বিজেপি দফতর | অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের পুলিশর

সরকারের নজরে বিজেপি দফতর | অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের পুলিশর

বিজেপি যুবনেতার মৃত্যুতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। সোমবার রাতে হেস্টিংসে বিজেপির সদর দফতরে ঠিক কি ঘটেছিল তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্তও। এ ব্যা পারে বিজেপির ১০-১২ জন নেতা কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে মৃত নেতা রাজু সরকারের ময়নাতদন্তের পরই তদন্তের প্রক্রিয়াটি পুরোদমে শুরু হবে।

পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তা সত্ত্বেও রাতেই বাইপাসের ওই বেসরকারি হাসপাতলে গিয়ে খোঁজ নেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা। হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়েও যায় পুলিশ। কথা বলেন বিল্ডিং ইনচার্জের সঙ্গে। আজ, মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে। বিজেপির কার্যালয়ে থাকা সমস্ত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে বলেও খবর পুলিশ সূত্রে।

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৈঠকের পর পরিচিত একজনকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান রাজু। কার্যালয়ে তাঁর ডায়েরি ফেলে গিয়েছিলেন। সেটি ফেরত নিতে আসেন। কেউ মজা করে সেটা লুকিয়ে রেখেছিল। সেই নিয়েই বাদানুবাদ হয়। রাজুর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তত্‍ক্ষণাত্‍ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে শয্যা না মেলায় নিয়ে যাওয়া হয় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

চিকিত্‍সকেরা জানিয়েছেন, পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে, বিজেপির যুবমোর্চার কর্মসমিতির বৈঠক শেষে রাজু সরকারের মৃত্যুতে অতান্তরে রাজ্য বিজেপি। তবে হাতাহাতির কথা অস্বীকার করছেন নেতারা। দিল্লি থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‌বৈঠকে কোন গণ্ডগোল হয়নি।  পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই দায়ের করেছে মামলাটি। শুধু তা-ই নয়, লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার তরফে তদন্তও শুরু হয়েছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই বিজেপির হেস্টিংস অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। কীভাবে হাতহাতির ঘটনার সূত্রপাত, সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে মৃত নেতার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর।