প্রতিদিন মাত্র ২৫০ টাকা জমালেই রিটার্ন পাবেন ৫৫ লক্ষ টাকা, সুযোগ দিচ্ছে 'LIC'

বর্তমানে অনিশ্চিত জীবনে বিমা থাকা অত্যন্ত জরুরি। আর সাধারণ মানুষের মনে জীবনবিমা বলতে প্রথমেই মনে আসে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন বা এলআইসির কথা। সাধারণ মানুষের সামর্থ্য ও বয়সসীমা অনুযায়ী জীবনবিমার নানা প্রকল্প রয়েছে। এলআইসির বিমার আরও একটি বিশেষ সুবিধা হল বিমার জন্য বেশি অর্থও ব্যয় করতে হয় না এবং আর্থিক রিটার্নের নিশ্চয়তাও রয়েছে।
কী এই জীবন লাভ পলিসি?
এলআইসির জীবন লাভ হল একটি সীমিত প্রিমিয়ামের প্রকল্প, যেখানে অর্থের সুরক্ষার পাশাপাশি রিটার্নও দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের অধীনে যদি গ্রাহকের হঠাত্ কোনও কারণে মৃত্যু হয়, তবে পলিসির মেয়াদ উত্তীর্ণ বা ম্যাচুয়র হওয়ার আগেই গ্রাহকের পরিবারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়া পলিসির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়া যাবে। ঋণের সুযোগও পাওয়া যায় এই পলিসির অধীনে।
জীবনলাভ পলিসি-
এলআইসির জীবন বিমা পলিসিতে ন্যূনতম ২ লক্ষ টাকা জমা রাখতে হবে। গ্রাহকেরা ১০, ১৫ ও ১৬ বছরের মেয়াদে এই পলিসিতে টাকা জমা রাখা যায়। ১৬ থেকে ২৫ বছর পর ম্যাচুয়িটির অঙ্ক পাবেন গ্রাহকরা। এই পলিসির সুবিধা পাওয়ার জন্য গ্রাহকের ন্যূনতম বয়স ৮ বছর ও সর্বাধিক বয়স ৫৯ বছর হতে পারে। বিমার মেয়াদ ১৬ বছর অবধি হতে পারে। অর্থাত্ যদি কেউ ৫৯ বছর বয়সে বিমা করেন, তবে ৭৫ বছর বয়সে সেই পলিসির ম্যাচুরিটির অর্থ পাওয়া যাবে।
জীবনলাভ পলিসির সুবিধা-
এলআইসির এই পলিসির একাধিক সুবিধা রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হল বিমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জমা টাকা, ম্যাচুরিটির অঙ্ক ও অ্যাডিশনাল বোনাস পাওয়া যাবে। যদি বিমার মেয়াদের মাঝেই গ্রাহকের মৃত্যু হয়, তবে বিমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যে অঙ্ক পাওয়ার কথা ছিল, তার সাতগুণ বেশি অর্থ পাওয়া যাবে।
কীভাবে কম খরচেই এই পলিসির সুবিধা পাবেন?
দৈনিক ২৫৩ টাকা রেখেই, ম্যাচুরিটির সময়ে ৫৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে এই পলিসিতে। যদি আপনার বয়স ২৫ বছর হয় এবং আপনি ২৫ বছরের মেয়াদে বিমা করান, তবে বিমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৫৪.৫০ লক্ষ টাকা অবধি পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে বেসিক সাম অ্যামাউন্ট ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করতে হবে। সেক্ষেত্রে বছরে ৯২ হাজার ৪০০ টাকা করে দিতে হবে। অর্থাত্ প্রতিদিন আপনাকে ২৫৩ টাকা করে দিতে হবে।