জিরে খাওয়ার উপকারিতা কি কি? জেনে নিন সেই উপকারিতা গুলি

আজ বাংলা: আপনি কি জানেন গোটা জিরে খাওয়ার উপকারিতা কি কি?? যদি না জেনে থাকেন তাহলে দেখে নিন শুধুমাত্র একসাথে কতগুলি সমস্যার সমাধান করতে পারে- ওজন কমাতে সকালে উঠে খালি পেটে লেবু-জল খেতে অনেক ডায়টিশিয়ানই বলেন। দারচিনি কফি খাওয়ার কনসেপ্টও বেশ চলতি। তবে জানেন কি জিরেও ওজন কমাতে দারুণ উপকারী? অনেকেই জিরের গুণ জানেন না।
ওজন কমাতে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন জিরে-জল। কোনও অ্যান্টাসিড মেডিসিন যত তাড়াতাড়ি শরীরের সমস্যা ঠিক করতে পারে, জিরের জলও একইভাবে কিন্তু কার্যকরী। এবার শুধু হজমের সমস্যা সমাধান করে তাই না, ওজন কমাতেও একইভাবে সাহায্য করে জিরের জল। কারণ, জিরের জলে যথেষ্ট ক্যালোরি কম। এবং জিরের জলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস আছে। হজমের সমস্যা ঠিক করে। মেটাবলিজ়ম বাড়ায় এবং ফ্যাট বার্নিংয়েও এর ভূমিকা দারুণ। তাহলে জিরের জলের উপকারিতা জেনে নিই (benefits of drinking jeera water) আসুন।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে গোটা জিরে অবদান অনস্বীকার্য। হাফ চামচ গোটা জিরে গুঁড়ো, হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো, হাফ চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান, ১০মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে জিরে খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এইসময় কনস্টিপেশন ও হজমের সমস্যা হতে পারে। জিরে খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়া হজমে সাহায্য করে জিরে। তাই এক গ্লাস দুধের সাথে হাফ চামচ জিরে ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
কনস্টিপেশনের সমস্যা যদি কেউ ভোগেন তাহলে ডেলি রুটিনে জিরে যুক্ত করে নিন। এই মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা বিভিন্ন এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য জিরে শুকনো খোলায় ভেজে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেই জিরে পাউডার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে পান করুন।
চুলকে সুন্দর করতেও সাহায্য করে জিরে। এক চামচ জিরা পাউডার ও একটি দিন ভালো করে সেটি মাথায় মেখে নিন। মিশ্রণটি শুকনো হওয়ার পর চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করে এই প্রক্রিয়া করলে আপনার চুল আগের থেকে অনেক সুন্দর হয়ে যাবে।
ফ্যাট হজম করতে সাহায্য করে
এটি খিদে কমায়, গ্যাস হতে দেয় না। আপনার উদ্দেশ্য যদি ওজন কমানো হয়, তবে নিয়মিত অন্তত তিন গ্রাম জিরে অবশ্যই খান। তিন মাস টানা তিন গ্রাম জিরে খাবেন। আপনার ওজন কমবেই (benefits of drinking jeera water) । জিরে অত্যন্ত লো ক্যালোরি। আপনি জিরের জল ছাড়াও রান্নাতেও জিরে দিয়ে খেতেই পারেন। জিরের গুঁড়ো ব্যবহার করুন। জিরের জলের উপকারিতা দারুণ।
লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় জিরের জল
ফলে হজমে সুবিধা হয় আপনি যদি নিয়মিত জিরে জল খান, তবে শরীরের ডায়াজেস্টিভ এনাজ়াইমের উৎপাদন বেড়ে যায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় তা দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে লিভারে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানও শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে লিভারের কাজ করার ক্ষমতা দ্রুত বাড়ে। হজমও ভালো হয়।
ফুসফুসের কাজ ভালো করে জিরের জল
শরীরে মিউকাসের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা কমায় জিরে। জিরেতে সেরকম কিছু উপাদান আছে। ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও ঠিক রাখে। ফলে শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন সমস্যা ও অসুখ ঠিক রাখে জিরের জল (benefits of drinking jeera water) ।
শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সমাধান করে জিরের জল
নিয়মিত জিরের জল খেলে শরীরে জলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের তাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডিহাইড্রেশনের কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা একদম কমে যায়। শুধুমাত্র জিরে মিশিয়ে জল ফুটিয়ে আপনি খেতে পারেন এমন নয়। একইসঙ্গে আপনি জিরে ভেজানো জলও খেতে পারেন। আপনার একই উপকার হবে। জিরের জলের উপকারিতা প্রচুর। এই অভ্যাস আপনার শরীরকে ভাল রাখবে। জিরে-জল করতে যা যা লাগবে ১ গ্লাস জল, ১ চা চামচ জিরে, ১ চা চামচ কাঁচা মধু
কী ভাবে বানাবেন
মাঝারি আঁচে জল গরম করুন। জিরে দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে নিন। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে অন্তত টানা ৩ মাস দিনে ৩ গ্রাম করে জিরে অবশ্যই খান। জিরে-জল ছাড়াও রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন জিরে গুঁড়ো।