পেটের মেদ ঝড়াতে চান? তাহলে আজই করুন এই কাজটি

আজ বাংলা: মেদ....জীবনের যেন আরেকটা অংশ। এই মেদ কমাতে আমরা কত কী করি। পেটের মেদ যেন সহজে যেতেই চায় না। তবে ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।ওজন কমানোর সময়ে সবথেকে বেশি সমস্যা হল পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে। পেটের মেদ যেন কিছুতেই কমতে চায় না। আর সবথেকে তাড়াতাড়ি মেদ জমে যায় সেই পেটেই। সারাদিন জিম আর যোগাসন করে চলে পেটের মেদ কমানোর প্রচেষ্টা। কিন্তু আপনার ঘরেই রয়েছে এমন এক পানীয়, যা খেলে মাত্র ১০ দিনেই কমে যাবে পেটের মেদ।
গরম জলে লেবু
সকালে এক কাপ ঘন কফি বা চা মন মেজাজ ভালো করে দেয় ঠিকই। কিন্তু যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে লেবুর রস পান করুন।লেবু ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটা দ্রুত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। গরম জলেতে লেবু খাওয়া বেশি কষ্টকর মনে হলে এতে এক চামচ মধু যোগ করতে পারেন।
প্রতিদিন জিরা জল খান
হ্যাঁ সকালে পানীয় হিসেবে জিরা দেওয়া জল খান। এটা হজমে সহায়তা করে, পেট ফোলাভাব কমায় ও পেটের মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই জিরা থাকে। জিরারও উপকারী গুণাগুণ অনেক। কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখে এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিও আটকায়।
প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট
শরীরে শক্তি যোগাতে প্রোটিন ভূমিকা রাখে। নাস্তায় প্রোটিন খাওয়া পেশি গঠনের পাশাপাশি সারাদিন পেট ভরা অনুভূত হতে সহায়তা করে। ফলে বাড়তি ক্যালরি গ্রহণের ঝুঁকি কমে।প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহে চর্বি সঞ্চয়কারী ইন্সুলিনের মাত্রা কমায়। শস্য-জাতীয় খাবার খান: শস্য-জাতীয় খাবার আঁশ সমৃদ্ধ।এটা শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্ষুধাভাব কমাতে ও উচ্চ ক্যালরিবহুল খাবারের চাহিদা কমাতে সহায়তা করে। উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ শস্য ওজন কমায় এবং পেটের মেদ কমাতেও সহায়তা করে।
আদা
খাবারের স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরেরও অনেক উপকার করে আদা। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তাড়াতাডি খাবার হজম করার জন্য ব্যবহার করা হয় আদা। আদা স্থূলতার সমস্যা কমায় এবং প্রদাহনাশক উপাদান সমৃদ্ধ। ওজন কমাতে চাইলে খাবারে এই ধরনের মসলা যোগ করুন। এটা দেহের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
মানসিক চাপ কমাতে যোগ ব্যায়াম বা ধ্যান
হ্যাঁ, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ চর্বি বৃদ্ধিকারী হরমোন যেমন কর্টিসোলের মাত্রা বাড়ায়। কর্টিসোলের তীব্রতা খিদে বাড়ায়, ক্যালরি বহুল খাবারের চাহিদা বাড়ায় এবং পেটে চর্বি জমাতে ভূমিকা রাখে। তার ফলে মানসিক চাপ কমাতে যোগ ব্যায়াম ও ধ্যানের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পর্যাপ্ত জল পান
ওজন কমানোর মূল চাবি কাঠি হল পর্যাপ্ত জল খাওয়া।সারাদিন নিজেকে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি এটা অস্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা কমায়। খাবারের আগে জল খাওয়া অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে ফলে পেটে চর্বি জমা হওয়ার ঝুঁকিও কমে।