চলুন ঘুরে আসি মেঘালয়ের রাজধানী শিলং, 'চেরাপুঞ্জি-মাওলিনং-নারটিয়াং' থেকে

চলুন ঘুরে আসি মেঘালয়ের রাজধানী শিলং, 'চেরাপুঞ্জি-মাওলিনং-নারটিয়াং' থেকে

আজবাংলা ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, ১৮৬৪ সালে শিলং গ্রামে িব্রটিশরা শহর পত্তন করেন। বর্তমানে ২ লক্ষ ৬০ হাজার বাসিন্দার এই শহর, ১৯৭২ সালে, মেঘালয়ের জন্মলগ্নের আগে পর্যন্ত অসমের রাজধানী ছিল। স্থানীয় কাগজে দেখলাম ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে উপজাতিদের সঙ্গে শিলং নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বিরোধের কথা।

শিলং ও তার আশেপাশের এলাকা এক উপজাতির কাছ থেকে লিজে নিয়েছিল তদানীন্তন িব্রটিশ সরকার। মেঘালয় হচ্ছে মেঘেদের বাড়ি। কবিদের অনুপ্রেরনার ও চিত্রকরদের ক্যানভাস। বেড়ানোর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। ২১ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে রাজ্য হিসাবে ঘোষনা হয়। মেঘালয় ছবির মত সুন্দর একটি রাজ্য। কালচার ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ, মেঘের সমাবেশ, জীবনের কিছু রঙ্গিন মুহত্ব কাটানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা। মেঘালয় সেভেন সিস্টার খ্যাত উত্তর পূর্ব অঞ্চলে অত্যতম একটি সুন্দর রাজ্য।

মেঘালয় Meghalaya পাঁচটি প্রশাসনিক জেলায় ভাগ হয়েছে- জয়িন্তা পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম গারো পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম খাসি পাহাড়। ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে শিলং শহরের জনসংখ্যা হল ১৩২,৮৭৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০%, এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮০%।পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে শিলং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

কলকাতা থেকে গৌহাটি, স্টেশনেই গাড়ি পেয়ে যাবেন,আগে শিলং যাওয়াই ভালো। শিলং শহর আর তার আশপাশের জায়গাগুলো ঘুরে বেড়িয়ে তারপর সেখান থেকেই চেরাপুঞ্জি । ভাড়া করা ট্যাক্সিই শিলং ও চেরাপুঞ্জিতে বেড়ানোর সবচেয়ে ভালো বাহন। তবে বড় দল হলে শিলং থেকে বাস ভাড়া করেও চেরাপুঞ্জি বেড়িয়ে আসা শিলং বা চেরাপুঞ্জিতে থাকা, খাওয়া এবং গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর খরচ কিছুটা বেশি।

চেরাপুঞ্জি অঞ্চলে গ্রীেষ্ম তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালে ৩.৯ থেকে ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। উত্তর পূর্ব ভারতের এই প্রান্তে বৃষ্টিপাতের হার বেশি। বর্ষাকাল ছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে যে কোনও সময়। বেড়ানোর ভাল সময় ২টো- নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস ট্রেকিং, প্রকৃতি বীক্ষণ, ইত্যাদির জন্য আদর্শ। বৃষ্টির পূর্ণ রূপ দেখতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মাসে আসা উচিত।

শিলং শহর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যাত্রাপথটি অনুপম পাহাড়ি শোভায় ঘেরা। অনুচ্চ পাহাড়ের বুক চিরে মসৃণ রাস্তা। চলার পথের সঙ্গী ছোট ছোট গ্রাম, সবুজ উপত্যকা, খণ্ড খণ্ড কৃষিজমি, পাইন গাছের ছায়া, নাসপাতি ও কমলালেবুর বাগান এবং টেবলটপ পাহাড়। এ ছাড়া আছে কয়লার খাদান। রাস্তাতেই পড়বে ঝুলন্ত লোহার ব্রিজ মওকডং। এখান থেকেই সিঁড়ি নেমে গেছে দুয়ানসিং সিয়েম ভিউ পয়েন্টে। এখান থেকে দৃশ্যমান হয় ঘন সবুজ মাডক উপত্যকার মনোরম শোভা। শহরে ঢোকার মুখেই ওয়াকাবা ফলস।

পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা বিনুনির মতো সরু জলধারা হারিয়ে গেছে নীচে। চারিদিক উন্মুক্ত। দূরে দেখা যায় শুধু পাহাড়ের সারি। নীচের দিকে তাকালে দেখা যায় না ঝর্নার প্রবাহপথ। চেরাপুঞ্জি পৌঁছে প্রথম গন্তব্য রামকৃষ্ণ মিশন। ১৯৫২-র ২০ অক্টোবর তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু চেরাপুঞ্জি রামকৃষ্ণ মিশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। খাসি উপজাতিদের জীবনে উন্নতির আলো জ্বালতে এই মিশন অনেকটাই সাহায্য করেছে। শিক্ষার প্রসার, দাতব্য চিকিত্‍সালয় এবং সমাজসেবামূলক কাজে মিশনের অবদান অনস্বীকার্য।

স্কুল ভবনের ঠিক পিছনেই দিগন্ত বিস্তৃত ঢেউ খেলানো পাহাড়ের মিছিল। রামকৃষ্ণ মিশনের নৃতাত্বিক সংগ্রহশালাটি অসাধারণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের উপজাতীয় মানুষদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। রবর্তী গন্তব্য নহকালিকাই ফলস। প্রায় ১০০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের মাথা থেকে অনেক নীচে সটান আছড়ে পড়ছে ঝর্নার জল। বিশাল উন্মুক্ত অঞ্চল। বিস্তীর্ণ স্থান জুড়ে পাহাড়ের পাথুরে শরীরটার মাথাটা সবুজ চাদরে ঢাকা। নীচে জমাট বাঁধা সাদা মেঘ। অনেক নীচে সৃষ্টি হয়েছে ছোট জলাশয়।

স্নিগ্ধ নীল তার রং। হাজার সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাওয়া যায় জলাশয়ের কাছে। বর্ষায় ঝর্নাটি যৌবনে ভরপুর হয়ে ওঠে।নহকালিকাই ফলসের কাছেই আছে বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট। পরিষ্কার আবহাওয়ায় দেখা যায় বাংলাদেশ। এখানে চলার পথে দূর-দূর পাহাড়ের গায়ে দেখা মেলে অসংখ্য কবরস্থানের। খাসি উপজাতিরা বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। শহরের মাঝখানে ১৫৭ বছরের পুরনো প্রেসবিটারিয়ান চার্চটি সেই সাক্ষ্য বহন করে। শহরের মধ্যেই ফুলের বাগান, অর্কিড দিয়ে সাজানো মনোরম ইকো পার্ক।

এখান থেকেও দেখা যায় বাংলাদেশ। পাশেই আছে সেভেন সিস্টার ফলস। পাহাড়ের গা বেয়ে সাতটি ধারায় নেমে এসেছে এই ঝর্নাটি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য হল মোসামাই কেভ। এক আরণ্যক পরিবেশে এই প্রাকৃতিক গুহায় প্রবেশের অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর। গুহার ভিতরে বৈদ্যুতিন আলোর ব্যবস্থা আছে। আগে পর্যটকেরা টর্চ ও গাইডের সাহায্যে এই গুহায় প্রবেশ করতেন। এখন আলোর ব্যবস্থা থাকায় আর সে প্রয়োজন হয় না। কখনও বসে, কখনও সরু ফাঁকের মধ্যে দিয়ে শরীরকে গলিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।

গুহার ভিতরে প্রাকৃতিক উপায়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা আকৃতি— কখনও মানুষের মুখ, কখনও হাঁস বা পাখি। গুহার এক মুখ দিয়ে প্রবেশ করে রোমাঞ্চের স্বাদ নিয়ে আর এক মুখ দিয়ে প্রস্থান। চেরাপুঞ্জির অন্যান্য দ্রষ্টব্য হল কেইনরেম ফলস, খো-রামা, সাংকারাংগ পার্ক, মোসামাই ফলস, ডাইনথলেন ফলস, নংগিথিয়াং ফলস প্রভৃতি। চেরাপুঞ্জির বিস্ময়কর আকর্ষণ ডবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ।

জৈবপ্রযুক্তির এই সেতু বহু প্রাচীন। ত্যারণা গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্বে সিঁড়িপথে হেঁটে ২,৪০০ ফুট নীচে নেমে পৌঁছতে হবে উমশিয়াং নদীর ওপর তৈরি এই বিস্ময়কর সেতুর কাছে। রবার গাছের শিকড় পেঁচিয়ে এই সেতুর সৃষ্টি। মেঘালয় ছাড়া পৃথিবীতে কোথাও আর এই অসামান্য প্রাকৃতিক শৈলী দেখা যায় না। কষ্টকর পথের জন্যই পর্যটক সমাগম খুব কম। এটি দেখতে হলে চেরাপুঞ্জিতে রাত্রিবাস আবশ্যিক।

নারটিয়াং  মেঘালয়ের পর্যটন মানচিত্রে খাসি পাহাড়ের জনপ্রিয়তা খুব বেশি। তুলনামূলক ভাবে জয়ন্তিয়া পাহাড় প্রচারের আলো থেকে বেশ দূরে। নারটিয়াং জয়ন্তিয়া পাহাড়ের এক বিউটি স্পট। শিলং থেকে জোয়াইয়ের পথে এর অবস্থান, দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। পথের শোভা মনোমুগ্ধকর। পাইনবনের ঘনত্ব খুব বেশি। পূর্বে এখানেই ছিল জয়ন্তিয়া রাজাদের গ্রীষ্মকালীন আবাস। এখন তা নতুন ভাবে পরিবর্তিত রূপ পেয়ে হয়েছে সরকারি অফিস। আজও রাজাদের বংশধরেরা নারটিয়াং-এ বাস করেন।

এখানে একটি প্রাচীন দুর্গামন্দির ও শিবমন্দির আছে। শরত্‍কালে এক অসাধারণ পদ্ধতিতে পুজো হয়। বাংলার সংস্কৃতি ও খাসি-জয়ন্তিয়া সংস্কৃতি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। মন্দিরের ভিতরে আছে ছোট অষ্টধাতুর মূর্তি। সতীর বাম ঊরু এখানে পড়েছে বলে কথিত আছে। ১৯৮৭ সালে চেরাপুঞ্জি রামকৃষ্ণ মিশন এই মন্দিরটি সংস্কার করে এবং বর্তমানে তারাই এটি দেখাশোনার দায়িত্বে আছে। রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগেই এখানে বাঙালি প্রথায় পুজো হয়। দুর্গামন্দিরের কাছেই শিবমন্দির।

মন্দিরের ভিতরে আছে কালো কষ্টিপাথরের শিবমূর্তি। জয়ন্তিয়া রাজাদের সময়কালে ব্যবহৃত কামানের কিছু অংশবিশেষ ও যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রও আছে। জয়ন্তিয়ারা নিজেদের মঙ্গোলিয়ানদের বংশধর বলে মনে করতো। শিবমন্দির চত্বরটি বেশ সুন্দর। এখান থেকে পাহাড় ঘেরা নারটিয়াংয়ের মনোরম শোভা দেখা যায়। নারটিয়াংয়ের মূল আকর্ষণ মনোলিথ পার্ক। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মনোলিথটি এই পার্কেই আছে। জয়ন্তিয়া উপকথা অনুযায়ী, বীর যোদ্ধা 'মার ফালিঙ্কি' এক হাতে খাড়া করে বসিয়েছিলেন এই মনোলিথটি।

এটি ৮ মিটার লম্বা, ২ মিটার চওড়া এবং ৪৬ সেন্টিমিটার মোটা। এই মনোলিথ পার্কে জয়ন্তিয়া রাজাদের সভা বসত। প্রতি একজোড়া পাথর একটা চেয়ারের আকারে আছে। মুখলার কাছে হাইওয়ের ধারে পাইনবনে ঘেরা থাডলেস্কেইন লেক। লেকের চারপাশে নরম সবুজ ঘাসের গালিচা। তিন দিকে পাইনবনের সারি আর একপাশে আছে পাহাড়ি ধাপে বোনা ধানের ক্ষেত। লেকের নীল জলে বোটিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

 মাওলিনং  ক্লিনলিনেস ইজ গডলিনেস' কথাটি বইয়ের পাতাতেই থেকে যায়। আমাদের দেশে তার বাস্তব প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম মাওলিনং কিন্তু সাফল্যের সঙ্গে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়েছে। এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের শিরোপা অর্জন করেছে এই গ্রাম। শিলং থেকে দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। শিলং থেকে মাওলিনং-এর যাত্রাপথে উমতিয়াংশি নদীর কিছু পরেই পথবিভাজন। একটি পথ গেছে চেরাপুঞ্জির দিকে, অন্যটি দাউকি।

পাহাড়ের রুক্ষতা, সবুজ উপত্যকা, পাইন বনের রোম্যান্টিকতা পথের সঙ্গী। দাউকির পথ ধরে এগিয়ে পাংতুম থেকে আবার পথ ভাগ হয়েছে। বাম পথটি সোজা চলে গেছে দাউকির দিকে। ডান দিকের বাকি ১৮ কিলোমিটার পথ পৌঁছে গেছে মাওলিনং। পথের দু'পাশে লম্বা লম্বা ঘাসের বন দেখা যায় যা থেকে ফুলঝাড়ু তৈরি হয়। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই খাসি সম্প্রদায়ভুক্ত, খ্রিস্ট-ধর্মাবলম্বী। গ্রামে স্কুল, চার্চ সবই আছে। কমলালেবু, কাঁঠাল, আনারস, তেজপাতা, পান, সুপুরি চাষ, ফুলঝাড়ু তৈরি এখানকার গ্রামের মানুষদের প্রধান জীবিকা।

গ্রামের প্রতিটি বাড়ি পরিপাটি করে সাজানো। বাড়ির সামনে রয়েছে ফুলের বাগান। প্রবেশ দরজা, সীমানা বেড়া-সবই সুন্দর লতানে ফুলগাছে মোড়া। প্রতিটি বাড়ির সামনে ও রাস্তায় বেতের তৈরি ডাস্টবিন রাখা আছে। এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের খেতাবটি ধরে রাখতে গ্রাম সমিতি ও গ্রামবাসীরা খুবই সচেষ্ট। গ্রামের প্রবেশপথেই প্রথম দ্রষ্টব্য 'ব্যালান্সিং রক'। ছোট্ট এক টুকরো পাথর বিশাল এক গোলাকার প্রস্তরখণ্ডকে মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে বিস্ময়ের ঘোর লেগে যায়।

যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনও কিছুই টলাতে পারেনি এই বৃহত্‍ প্রস্তরখণ্ডকে অন্য দ্রষ্টব্য 'স্কাই ভিউ পয়েন্ট'। প্রায় তিনতলা বাড়ির সমান উঁচুতে বাঁশ দিয়ে শক্ত করে বাঁধা মাচান। কয়েকটা বাঁশ জুড়ে তৈরি ঢাল বেয়ে বাঁশের রেলিং ধরে মাচানে উঠতে হয়। অনেকটা ওয়াচ টাওয়ারের মতো। বিস্তৃত সবুজের মাঝে বাংলাদেশকে দেখা যায়। সবচেয়ে বিস্ময়কর ও আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য নিবিড় অরণ্যের মাঝে প্রকৃতির অনবদ্য কারিগরি নিদর্শন 'লিভিং রুট ব্রিজ'।

২৫০ মিটার নীচে সিঁড়িপথ গেছে থাইলং নদীর কাছে। নদীর ওপরেই প্রকৃতির অনবদ্য সৃষ্টি জীবন্ত গাছের সেতুটির অবস্থান। নদীর একপারে জঙ্গলের বিশাল বিশাল গাছের ঝুরি নেমে বহু বছর ধরে বেড়েছে এবং বিনুনি পাকানোর মতো শক্ত হয়ে নদীর অন্য পারে মিশেছে। দীর্ঘ দিন ধরে ঝুরির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে সেতুর আকার ধারণ করেছে। এটি এতটাই শক্তিশালী যে পথ চলার উপযোগী।