উত্তর দিনাজপুরের পার্সেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী

উত্তর দিনাজপুরের পার্সেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী

উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বাহারাইলে পার্সেল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও আতঙ্কে এলাকাবাসী (Bangla News)। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে সিআইডি। তদন্তে নেমে ১ জনকে আটকও করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পার্সেল রাখার সময় টোটোতে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে যে টোটোতে করে ওই পার্সেল এসেছিল, সেই টোটোর চালক আত্মসমর্পণ করেছেন।

ঘটনার জেরে শনিবার বাহারাইল বাজারে বনধ ডাকেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরাও। বিস্ফোরকের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। পার্সেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত বাবলু চৌধুরীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি কোনও দিন অনলাইনে কিছু কেনেন না।

প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ওই পার্সেল পাঠাল কে? বাহারাইল থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত বেশি দূরে নয়। মেরে কেটে ৩ কিলোমিটার। বাবলুবাবুর বাড়ি বাহারাইল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কলুয়া গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকা আতঙ্কে মুড়ে রয়েছে। রাস্তাঘাটে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। কোনও বাক্স বা ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখলেই দূরে সরে যাচ্ছেন সবাই।

সকলেই বলছেন, অবিলম্বে পার্সেল বিস্ফোরণের ঘটনার সত্য সামনে আসুক। আহত বাবলু চৌধুরীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি নির্বিবাদী মানুষ। কারও সঙ্গে কখনও ঝগড়াঝাটিও হয়নি। এমনকী অনলাইন কেনাকাটাতেও তিনি অভ্যস্ত নন। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাবুল চৌধুরীর পাশের দোকানের মালিক অনেক সময়ই অনলাইনে কেনাকাটা করতেন। কিন্তু পার্সেলটিতে লেখা ছিল বাবলু চৌধুরীর নাম। সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।