হকি কিংবদন্তিকে সম্মান মোদীর| খেলরত্ন পুরস্কার এখন ধ্যানচাঁদের নামে

হকি কিংবদন্তিকে সম্মান মোদীর| খেলরত্ন পুরস্কার এখন ধ্যানচাঁদের নামে

রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার হল 'মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার' (Major Dhyan Chand Khel Ratna Award) । হকির (Hockey) পুনরুত্থানের দিনে বিরাট ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। এতদিন যা পরিচিত ছিল রাজীব গান্ধী খেল রত্ন পুরস্কার হিসাবে, এখন থেকে তাকে 'মেজর ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কার' বলা হবে, শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবারই টোকিও অলিম্পিকে ভারতের পুরুষ হকি দল ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।

শুক্রবার ভারতীয় মহিলা হকি দলও অল্পের জন্য প্রথম অলিম্পিক পদক পায়নি। দুই হকি দলের এই সাফল্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভারতের ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কারকে ভারতীয় হকির কিংবদন্তির নামে উরসর্গ করা হল। অবশ্য, ক্রীড়ামহল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি ছিল। শুক্রবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে জানান খেলরত্ন পুরষ্কারটির নামকরণ, কিংবদন্তি ভারতীয় হকি খেলোয়াড় মেজর ধ্যাঁনচাঁদের নামে করার জন্য তিনি সারা দেশের মানুষের কাছ থেকে প্রচুর অনুরোধ পেয়েছেন, তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

টুইটে তিনি বলেন, "মেজর ধ্যানচাঁদের নামে খেলরত্ন পুরস্কারের নাম রাখার জন্য আমি সারা ভারতবর্ষের নাগরিকদের কাছ থেকে অনেক অনুরোধ পেয়েছি। তাদের মতামতের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের অনুভূতিকে সম্মান দিয়ে খেলরত্ন পুরস্কারকে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার বলা হবে! জয় হিন্দ! " " ধ্যানচাঁদকে শুধু ভারতেরই নয়, বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা হকি খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বমঞ্চে হকিতে ভারত একসময় কয়েক দশক ধরে আধিপত্য করেছিল। অলিম্পিকে ছিল অজেয়।

অলিম্পিক হকিতে একটানা ৮ বার সোনা জিতেছিল ভারত। এরমধ্যে ১৯২8, ১৯৩২ এবং ১৯৩৬ সালের অলিম্পিকে ভারতের স্বর্ণপদক জয়ে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল ধ্যানচাঁদের। শোনা যায়, তাঁর স্টিকের জাদু দেখে অনেকই তাঁর স্টিক হাতে নিয়ে দেখতে চাইতেন তাতে কোনও আঠা লাগানো আছে কি না। ১৯৮০ সালের অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়ের পর থেকে, গত ৪১ বছর অলিম্পিক পোডিয়ামে দেখা যায়নি ভারতীয় দলকে।

তবে এই বছর পুরুষ হকি দলের ব্রোঞ্জ জয় এবং মহিলা হকি দলের পদকের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতীয় হকির পুনরুত্থান ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরাবরই ক্রীড়ামোদী হিসাবে পরিচিত। ক্রিকেট, বক্সিং, হকি, ফুটবল - সব খেলার ক্রীড়াবিদদেরই তিনি সমানে উত্‍সাহ দিয়ে যান।

টোকিওতে এখনও পর্যন্ত পদকজয়ী ভারতের ৫ জন ক্রীড়াবিদের সঙ্গেই ফোনে কথা বলেছেন তিনি। এমনকী, পরাজিত ক্রীডা়বিদদেরও চাঙ্গা করে তুলেছেন তিনি। পুরুষ হকিতে ব্রোঞ্জ জয়ের পর অধিনায়ক মনপ্রীত জানিয়েছিলেন, সেমি-তে হারের পর প্রধানমন্ত্রীর উত্‍সাহ গোটা দলকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছিল। ১৫ অগাস্ট, ৭৫তম স্বাধীনতাদিবসের দিন অলিম্পিকগামী ভারতীয় দলের সকলকে প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।