মালদার পাঁচ বছরের শিশুকে অমানবিক নির্যাতন, ভাইরাল ভিডিয়ো

মালদার পাঁচ বছরের শিশুকে অমানবিক নির্যাতন, ভাইরাল ভিডিয়ো

পাঁচ বছরের শিশুকে অমানবিক নির্যাতন। পা বেঁধে মাথা নীচের দিকে করে ঝুলিয়ে চার বছরের শিশুর ওপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। বাড়িতে ছিলেন না শিশুর বাবা ও মা। ফাঁকা বাড়িতে পরিচিত দুই যুবক মিলেই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। ফ্যানে বেঁধে, উল্টো করে টাঙিয়ে মার। গলায় ভারী জিনিস বেঁধে দিয়ে লাগাতার কান ধরে ওঠবোস। না পারলে পায়ে লাঠির আঘাত।

গলায় পা দিয়ে দাঁড়িয়েও চলত অত্যাচার। সেই ভিডিও ভাইরাল। শিউরে ওঠার মতো ছবি। হায়দরাবাদে অমানবিক নির্যাতনের শিকার মালদহের ছোট্ট শিশু। মালদহের বাসিন্দা হায়দারাবাদে প্রতিবেশী প্রসেনজিৎ মন্ডল-এর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ। মালদহের বামনগোলা থানার চাঁদপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি পরিবার হায়দরাবাদে কাজে যান।

মাস ছয়-সাত ধরে তাঁরা হায়দরাবাদে রয়েছেন। অত্যাচারিত শিশুর বাবা পেশায় সাটারিং মিস্ত্রি। মা হায়দরাবাদের একটি নার্সিংহোমে কাজ করেন। অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ মণ্ডল পার্শ্ববর্তী গ্রাম বামনগোলার নন্দিনাদহের বাসিন্দা। শিশুর বাবা-মা কাজে যাওয়ার সময় বিশ্বাস করে প্রতিবেশী যুবক প্রসেনজিতের কাছে ছেলেকে রেখে যেতেন। সেই সুযোগেই শিশুর ওপর চলত নির্যাতন।

প্রতিবেশী অন্য এক যুবক মারধরের এই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। দেড়মাস আগে এই অত্যাচারের ঘটনা ঘটে। ফের মারধরের ভয় সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত বলে বাবা মাকে জানাই ছোট্ট শিশু। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয় শিশু। হায়দরাবাদে চলছে চিকিৎসা। জানিয়েছে শিশুর পরিবার। বেশ কিছুদিন ধরেই বেপাত্তা অভিযুক্ত যুবক প্রসেনজিৎ। গাঁজার ব্যবসার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হায়দরাবাদেও পুলিশে অভিযোগ রয়েছে।

এরপর থেকেই গা ঢাকা দেয় ওই যুবক। দু'দিন আগেই ছবি ভাইরাল হওয়ায় ছেলের ওপর অত্যাচারের ঘটনা জানতে পারে পরিবার। অভিযুক্তের বিচার দাবি করেছেন শিশুর বাবা। পরিবারের একমাত্র সন্তান ওই শিশু। এই ঘটনায় বিকৃত মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন সমাজকর্মীরা। শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার এই প্রসঙ্গে বলেন, যাঁদের রক্ষা করার কথা তাঁরাই অত্যাচারী হয়ে উঠছেন। মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে অত্যাচার করার নজির গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থাতেই ছেয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।