মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ঔদ্ধত্য' তাঁর তৃণমূল ছাড়ার অন্যতম কারণ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ঔদ্ধত্য' তাঁর তৃণমূল ছাড়ার অন্যতম কারণ

প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ঔদ্ধত্য' তাঁর তৃণমূল ছাড়ার অন্যতম কারণ। শুক্রবার নদিয়ার এক সাংসদকে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ত্‍সনার পর এমনই বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকগুলিতে প্রকাশ্য ভর্ত্‍সনার মুখে পড়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা - মন্ত্রী এমনকী পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও।

বৃহস্পতিবার তেমনই এক বৈঠকে জেলায় দলের একমাত্র সাংসদকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম করে বলেন, 'আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই। আমি সাজিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে অথবা ডিজিটাল মাধ্যমে অথবা পেপারে দিয়ে দিলাম, এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে, চিরদিন নয়।

একই লোক চিরদিন এক জায়গায় থাকবে, এটাও মেনে নেওয়া ঠিক নয়। যখন ভোট হবে পার্টি ঠিক করবে কে লড়বে, কে না। এখানে মতপার্থক্যের কোনও জায়গা নেই। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এটা আমি বলে গেলাম।' মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক সভার সরাসরি সম্প্রচার করা হয় তৃণমূলের তরফেই। টিভি ও সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি দেখা যায় এই সভা।

সেখানে একজন সাংসদকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ত্‍সনার কড়া সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু। এদিন দিনি বলেন, 'নিজের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের অপমান করেন। আমার তৃণমূল ছাড়ার পিছনে এটাও একটা কারণ ছিল। মানুষের তো আত্মসম্মান বোধ রয়েছে। লাইভে তাঁর বাবা - মা দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কি কোনও বোধবুদ্ধি নেই?'