রবিবার থেকে ফের বসছে হাওড়ার মঙ্গলাহাট

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ এখনও বাড়ছে। গত একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,০৬৪ জন। এর মধ্যে হাওড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০৩। এর মধ্যেই ব্যবসায়ীদের চাপে খুলে গেল হাওড়ার মঙ্গলা হাট। রবি, সোম ও মঙ্গলবার হাওড়া ময়দানে বসতে চলেছে এই হাট। ব্যবসায়ীরা কোভিড বিধি মেনে চলবেন, এই প্রতিশ্রুতি দিলে হাট খোলার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
গত কিছুদিন বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় মঙ্গলাহাট(Mangala Hat)। বিপাকে পড়ে যান এক লাখেরও বেশি ছোট-বড় ব্যবসায়ী। গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার বন্ধ থাকে হাটে কেনাবেচা। এর প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ও হাওড়া ময়দান এলাকায়। তাঁদের দাবি, মেটিয়াব্রুজে(Matiabruz) হাট খোলা থাকলে হাওড়া হাট বন্ধ কেন? এতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
গত সোমবার ওই হাট খোলার নিয়ে হাওড়ার শরত্ সদনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রশাসনের কর্তারা। পুরসভার তরফে হাট খোলার ব্যাপারে ব্যবায়ীদের উপরে বেশকিছু শর্ত আরোপ করা হয়। তার মধ্যে ছিল হাট খোলা থাকলে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে তা লিখিত জানাতে বলা হয় ব্যবসায়ীদের। সেটাই লিখিত আকারে জমা দেন তাঁরা।
এরই প্রেক্ষিতে শুক্র ও শনিবার ব্যবাসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। হাওড়া জেলা হাসপাতাল, হাওড়া কোর্ট(Howrah Court, জেলা শাসকের অফিস, হাওড়া পুরসভা ও প্রশাসনের মূল অফিসগুলি হাট এলাকায় থাকায় আপত্তি জানায় প্রশাসন। তবে ব্যবসায়ীদের তরফে বলা হয়, করোনাবিধি মেনে চলবেন তাঁরা। এরপরই হাট খোলার অনুমতি দেয় প্রশাসন।
সূত্রের খবর, হাট চলাকালীন ব্যবসায়ী ও পুলিসের পক্ষ থেকে একইসঙ্গে নজরদারি চালানো হবে। হাওড়া মঙ্গলা হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, এর ফলে ব্যবসায়ীরা রবিবার থেকে ব্যবসা করতে পারবেন। হাটগুলিকে স্যানিটাইজের কাজ তারা শুরু করেছেন। পাশাপাশি ক্রেতা এবং বিক্রেতা যাতে সবাই মাক্স পড়েন তা দেখা হবে। সকলকে সচেতন করতে মাইকে ঘোষণার পাশাপাশি হাট চত্বরে পোস্টার মারা হবে।
হাওড়া পুর প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী ব্যবসায়ীদের চাপের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন মানবিক কারণে হাট করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন তারা হাওড়া হাসপাতালের বাইরের অংশে বসবেন না। এছাড়াও তারা নিজেরাই হাট চত্বর স্যানিটাইজ করবেন। তাই শর্ত সাপেক্ষে ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।