দিনে সর্বোচ্চ কয়টা ডিম খাওয়া যাবে? কি বললেন বিশেষজ্ঞরা

দিনে সর্বোচ্চ কয়টা ডিম খাওয়া যাবে? কি বললেন বিশেষজ্ঞরা

আজ বাংলা: ডিম, এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যা যে কোনো রোগী খেতে পারেন। যাদের ইমিউনিটি কম, নিজেরা ক্লান্ত অনুভব করেন সারাদিন ডিম তাদের পক্ষে একদম আইডিয়াল। ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। শিশু থেকে বয়স্কো শারীরিক বিকাশ থেকে শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে দাঁড়ানো সবকিছুতেই ডিমের কোন তুলনা নেই।

তবে ডিমের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।  ডিমের কুসুমে কোলিন থাকে, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া ডিমে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, আয়রনসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে, যা শিশুর বিকাশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছর বয়সের পর থেকে দিনে একটি ডিম এবং তিন বছর বয়সের পর থেকে দুটি ডিম খাওয়া যেতে পারে।

যাদের উচ্চ রক্তচাপ ,হাই কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা, ইউরিক এসিডের সমস্যা রয়েছে তারা ডিমের কুসুম এড়িয়ে যান।পুষ্টিবিদদের তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে ২৫৫ মিলিগ্রাম এবং হাঁসের ডিমে ৩৫৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তারা আমাদের জানিয়েছেন দূর থেকে একটি হাঁস বা মুরগির ডিম খেলে তাতে থাকা কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে থাকা কোলেস্টেরল কে খুব একটা প্রভাবিত করে না।তাহলে ডিমটি সবার জন্য খুবই উপকারী?

না একদমই তাই নয়। পুষ্টিবিদদের মতে যারা ডায়াবেটিস পেশেন্ট এবং যাদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা রয়েছে অথবা যারা স্থূলতা রোগে আক্রান্ত তারা ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলুন। শিশু অথবা তরুণের ক্ষেত্রে দুটি ডিম কোনো ক্ষতি করে না।একটি মানুষ যদি সুস্থ থাকেন তবে তিনি দিনে সর্বোচ্চ কটা ডিম খেতে পারেন?"ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন" এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন দিনের সর্বোচ্চ তিনটি ডিম কোনমতেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডিমে রয়েছে উচ্চ কোলেস্টেরল যা ভবিষ্যতে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। তাই ডিম খান কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে।