ময়ূরাসন

ময়ূরাসন

প্রাচীন কাল থেকেই সুস্বাস্থ্যের জন্য যোগ(Yoga) ব্যায়ামের জুড়ি নেই। যোগাসন, হটাসন, শবাসন ইত্যাদির মতো ময়ূরাসনও যোগ অভ্যাসের পর্যায়ের। ময়ূরাসন করলে দেহের সব বর্জ্যপদার্থ বের হয়ে দেহকে সুস্থ রাখে। কেউ ময়ূরাসন করছেন দেখলে যে কারও মনে হতে পারে,

তিনি বুঝি পাখির মতো উড়তে চেষ্টা করছেন। তবে পাখির মতো উড়ে সতেজ বাতাস খেতে না পারলেও এটি আমাদের দেহের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে দেবে।  আসন অবস্থায় দেহটি অনেকটা ময়ূরের মতো দেখায় বলে আসনটির নাম ময়ূরাসন। 

 পদ্ধতি পায়ের পাতা মুড়ে হাঁটুর উপর বসুন বা হাঁটু গেড়ে বজ্রাসনে বসুন। এবার হাতের তালু দুটো হাঁটু থেকে প্রায় এক হাত দূরে এমনভাবে মেঝেতে রাখুন যেন হাতের কব্জি দুটো একসঙ্গে এবং আঙুলগুলো পেছন ফিরে হাঁটুর দিকে থাকে। এখন দু’হাতের কনুই ভেঙে নাভির দুপাশে লাগিয়ে গভীরভাবে দম নিয়ে তলপেট শক্ত করে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ুন এবং পা দুটো সোজা করুন।

এবার হাতের তালুর উপর ভর রেখে পা জোড়া ও সোজা অবস্থায় উপরে তুলুন। দু’হাতের উপর শরীরটা মাটির অনেকটা সমান্তরালে ভেসে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ১০সেঃ থেকে ২০সেঃ এ অবস্থায় থাকুন। এরপর পা নামিয়ে হাত-পা আলগা করে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে এভাবে ২/৩ বার আসনটি অভ্যাস করুন এবং প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।

উপকারিতা:
•    এটি দেহের বিপাকীয় অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। দেহের রক্তের মধ্যকার সব বর্জ্যপদার্থ বের করে দেয়
•    লিভার ও কিডনি ভালো রাখে
•    পেটের কোনো রোগ সহজে হয় না, চর্মরোগ হয় না
•    স্ত্রী ও পুরুষের যৌনগ্রন্থির বিকাশের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে 
•    হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে 
•    রক্তে গ্লুজোজের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় রাখতে সহায়তা করে ।

 নিষেধ ময়ূরাসনে পেট ও বুকে প্রচণ্ড চাপ পড়ে বলে যাদের কোনAরকম হৃদরোগ আছে বা যাদের প্লীহা, যকৃৎ রোগা বা অস্বাভাবিক বড়, রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আসনটি করা উচিৎ নয়।