বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

মাত্র কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতা (Kolkata Rain Forecast)। শনিবারের পর এবার রবিবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়। কেবলমাত্র কলকাতাই নয়, গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই এদিন বৃষ্টি হবে। সঙ্গে চলবে বজ্রপাত। ফলে দুর্গাপুজোর আগে উইকএন্ডের প্ল্যান কার্যত মাটি।  সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলেও দিনভর বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে ঘনঘন বজ্রপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বাতাসে আপেক্ষির আর্দ্রতার সর্বাধিক পরিমাণ থাকবে ৯৫ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৬৫ শতাংশ।  হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, কলকাতায় শনিবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে আলিপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৫৩.৫ মিলিমিটার।

প্রায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে ঠনঠনিয়ায়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বৃষ্টি হয়েছে ৭৯ মিলিমিটার। মানিকতলায় বৃষ্টি হয়েছে ৭০ মিলিমিটার। এছাড়া চিংড়িঘাটাতে ৫৯ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এই এলাকাগুলি। জল জমেছে মানিকতলা, শিয়ালদা, এমজি রোড সহ উত্তর ও মধ্য কলকাতার বেশ কিছু জায়গায়। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সল্টলেক চত্বরও।

এছাড়াও বেহালা, রাসবিহারী, সাদার্ন অ্যাভিনিউতেও জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে।  জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে জল নামানোর কাজে নেমে পড়েন। পুরসভা সূত্রে খবর, বৃষ্টির সময় জোয়ার থাকায় গঙ্গার জলস্তর বেশি ছিল৷ বিকেল চারটে পর্যন্ত লকগেট বন্ধ থাকার কারণে বেশ কিছু এলাকায় জল জমে যায়।

লকগেট খুলে দেওয়ার পর জমা জল নামতে শুরু করে।  হাওড়া শহরে জল যন্ত্রণা অব্যাবহত। নবান্নের সামনেও জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। শনিবার প্রায় এক ঘণ্টার বেশি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নবান্ন সংলগ্ন ও নবান্ন ক্যাম্পাস। মূল গেটের ভিতরেও গোড়ালি সমান জল জমে যায়। সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় শনিবার আসা অফিস যাত্রীদের। যদিও সন্ধ্যার পর জল নেমে যায় বলেই খবর।  

পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজস্থান থেকে বাঁকুড়া হয়ে দিঘার ওপর দিয়ে মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়ে রয়েছে। এর ফলে কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।