বেদখলের পথে তৃণমূলের দখলে থাকা পৌরসভা

বেদখলের পথে  তৃণমূলের দখলে থাকা পৌরসভা

পুরুলিয়ার ঝালদায় বিপন্ন শাসকদল। তৃণমূলের দখলে থাকা পৌরসভা এবার বেদখলের পথে। ১২আসনের এই পৌরসভা য় ৫টি করে আসন পায় কং, তৃণমূল। দুটি আসনে জেতে ২ নির্দল প্রার্থী। নির্দলদের সমর্থনে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। তবে শেষ রক্ষা হল না। কয়েকদিন আগে সোমনাথ কর্মকার নামে এক নির্দল কাউন্সিলর কংগ্রেসের ৫ জনের সঙ্গে পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার চিঠি দেন।

আজ শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন তৃণমূলের কাউ্সিলর এবং  একদা নির্দল হয়ে জেতা শীলা চট্টোপাধ্যায়। তিনি আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির কাছে তার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর ইনিই ভাবি পৌরপ্রধান ঝালদা পৌরসভার। ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।  ঝালদা পুরভোট হওয়ার পরই খন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু।  

সেই ফাঁকা আসনে উপনির্বাচনে  জয় হন এক কংগ্রেস কাউন্সিলর। বাকী নির্দল  কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিতেই  তুঙ্গে উঠে গেল পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। কারণ নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। এখন শীলা চট্টোপাধ্যায় অনাস্থা ভোটে ভোট দিলে বা  ভোট দানে বিরত থাকলে ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা ষোলআনা।

শীলা চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা নিয়ে ঝালদা শহর তৃণমূল সভাপতি চিরঞ্জীব চন্দ্র বলেন, এরকম কোনও খবর এখনও আমার কাছে নেই। লিখিতভাবে কোনওকিছুই আমার কাছে এখনও আসেনি। তাই এখনই এনিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। অন্যদিকে, ঝালদা ৩ নম্বর ওয়ার্জের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্দল থেকে ভোটে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি।

ব্যক্তিগত কারণে এখন আমি তৃণমূল থেকে সরে আসছি। আমি আমার ইস্তফা সভাপতির কাছে পঠিয়ে দিয়েছি। কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাত বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় তাদের ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। তাই আণি চাই তৃণমূল কাউন্সিলররা পদত্যাগ করে বিরোধীদের পদ ছেড়ে দিন। এতে ঝালদার মানুষের উপকার হবে।