মুর্শিদাবাদে শ্রমিকের দেহ ফিরল মেরুদণ্ড ভাঙা অবস্থায়!

আবারও রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে মৃত্যু হলো এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃতেরর নাম সারিকুল ইসলাম। ভিনরাজ্যে গিয়ে ফের মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তামিলনাড়ুতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত সে। সেখানেই গত শনিবার ভাড়া থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ও মেরুদন্ড ভেঙে যায় সারিকুলের।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার গ্রামে মৃতদেহ এসে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। পেট বড় বালাই, পেটের দায়েই পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয় মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক। অভাবের সংসারে দুটো রোজগারের আশায় ৪মাস আগে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা সারিকুল ইসলামও।
সেখানে কর্মরত অবস্থায় হঠাত্ই ভাড়া থেকে পড়ে যায় সে। মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ও মেরুদন্ড ভেঙে যায়। অন্যান্য কর্মীরা তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে। সেখান থেকে কোয়েম্বাটুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানে ৫দিন চিকিত্সা চলার পর গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর খবর বাড়িতে এসে পৌছাতেই শোকেরা ছায়া নেমে আসে পরিবার সহ গোটা এলাকাজুড়ে।
পরিবারের বড় ছেলে সারিকুল, পরিবারে মা বাবা স্ত্রী ছোট ছেলে রয়েছে। হাসাপাতলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে কথাও হয়েছিল সারিকুলের। শুক্রবার গ্রামে মৃতদেহ এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকেরা। মা ফিরদৌসি বিবি বলেন, ''হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিত্সা চলছিল। ফোনে জানতে পারলাম আমার ছেলে মারা গিয়েছে।'' স্ত্রী আসলেমা খাতুন বলেন, ''দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকাকালীন ফোনে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। বলেছিল একটু সুস্থ আছে। কিন্তু সকালে ফোনে জানানো হয়, আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।''