সপ্তাহ শেষে কোলাহলমুক্ত ছুটি কাটাতে অবশ্যই যান হেনরি আইল্যান্ডে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হেনরি আইল্যান্ড।হেনরি আইল্যান্ড বকখালির কাছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান এর দক্ষিনে অবস্থিত।এই দ্বীপটি জমজমাট বকখালি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের উপকূলের শোভা বর্ধনকারী স্থান বলা চলে।এই দ্বীপের চারিপাশে আছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। বকখালির মতো জনবহুল না হওয়ায় নিরিবিলিতে দুই দিন কাটিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে। বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী হেনরি আইল্যান্ডে নিরিবিলি, শান্ত এবং একাকী সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের টানে। ভোরে সেখান থেকে সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতাও মনোরম।
ইঁটের রাস্তা কিছুটা এগিয়ে একটি অস্থায়ী, ভঙ্গুর বাঁশের সেতুতে গিয়ে মেশে। ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় ম্যানগ্রোভের বন। কাদায় মাখামাখি শ্বাসমূল, সুন্দরী, গেঁও, গরানের গন্ধ ও শীতল হাওয়ায় রোমাঞ্চিত হয় মন। ম্যানগ্রোভের বন ছাড়াও হেনরি আইল্যান্ড জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাছ চাষের ভেড়ি স্বতন্ত্র শোভা বর্ধন করে। সঙ্গী হয় লাল কাঁকড়ার পাল, শামুক, ঝিনুক। হেনরি আইল্যান্ডের ম্যানগ্রোভ বনে শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা গিয়ে ভিড় করে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নানা রঙের পাখি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখার মজা অন্যরকম।
ধর্মতলা থেকে প্রতিদিন যে বাসগুলো হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী যায় সেই বাসগুলিতেও যেতে পারেন।নদী পেরিয়ে বাস স্ট্যান্ড থেকে কিংবা বকখালি থেকে ট্রেকারে পৌঁছে যাবেন হেনরি আইল্যান্ড। আবার যাদের বাসে বা গাড়িতে গেলে শরীর অসুস্থ হয়ে যায় তারা ট্রেনেও যাইতে পারেন হেনরি আইল্যান্ড। ট্রেনের শিয়ালদহ থেকে পৌঁছতে পারেন নামখানা। আবার নামখানা থেকে ট্রেকারে যাওয়া যাবে হেনরি আইল্যান্ড। হেনরি আইল্যান্ডে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে সৌন্দর্যের পাশাপাশি পাবেন সমুদ্রতটের অপরূপ মিশেল।এখানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দপ্তরের রিসর্ট।এই দ্বীপে রয়েছে বেশ কয়েকটি হোটেলও। সপ্তাহ শেষে এক দিন অথবা দুই দিনের কোলাহলমুক্ত ছুটি কাটাতে অবশ্যই যান হেনরি আইল্যান্ডে।