আমাদের দেশের এই রহস্যময়  পাথর গুলিকে স্বর্গের পাথর বলে দাবি করা হয়

আমাদের দেশের এই রহস্যময়  পাথর গুলিকে স্বর্গের পাথর বলে দাবি করা হয়

আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে দেবতাদের নানা রহস্যময় নিদর্শন৷ আমাদের দেশের বহু রহস্যময় জিনিস যে আজও বিদ্যমান তা আমরা অনেকেই জানি৷ সেগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও জানি আমরা৷ তারই মধ্যে কয়েকটি রহস্যময় পাথরকে ঘিরে আজও আলোচনা এবং আশ্চর্য হওয়ার কমতি নেই৷ ধর্মবিশ্বাসীরা সেই সব রহস্যময় পাথরগুলিকে স্বর্গের পাথর বলে দাবি করেন৷ আসুন আজ সেই পাথর গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ……… 

মামা ভাগ্নে পাহাড়  : আমাদের রাজ্যের বীরভূম জেলার মামা-ভাগ্নে পাহাড়টি বেশ বিখ্যাত৷ এই পাহাড়ের ইতিহাস নিয়েও রয়েছে একাধিক পৌরানিক কাহিনি৷ বলা হয় যে দেবতা বিশ্বকর্মা, মহাদেবের আদেশে এক রাতের মধ্যে দ্বিতীয় কাশি নির্মাণ করছিলেন। সেসময় কিছু পাথর পরে মামা-ভাগ্নে সৃষ্টি হয়।আবার অন্য কাহিনী অনুযায়ী  রাম যখন তাঁর সীতাকে উদ্ধারের উদ্দেশ্যে লঙ্কা যাত্রা করেছিলেন তখন হিমালয় থেকে পাথর সেতু বন্ধনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ সেই সময় কিছু পাথর এখানে পরে যায়। আর এইভাবেই সৃষ্টি হয় এই পাহাড়। 

শ্রীকৃষ্ণের মাখনের গোলা : তামিলনাড়ুর মহাবলিপুরমে রয়েছে এক বিশালাকার পাথর৷ সেই পাথরকেও ঘিরে রয়েছে একাধিক পৌরানিক কাহিনি।পাথরটিকে দেখতেও অনেকটা বলের মতো৷ আশ্চর্যজনকভাবে সেই পাথরের গোলাটি ৪৫ ডিগ্রি কোণে আটকে রয়েছে৷ যদিও ধর্মপ্রাণরা একে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মাখনের গোলা বলে দাবি করেন৷ পাথরের উচ্চতা প্রায় ২০ ফিট, ব্যাস প্রায় ৫ মিটার৷  বহু শতাব্দী ধরেই নাকি এই গোলাটি এভাবে পড়ে রয়েছে৷ বিজ্ঞানের মতে আবহবিকারের ফলে এই পাথরের সৃষ্টি৷


আজমেঢ়ের জাদু পাথর : আজমেঢ়ের তারাগড় পাহাড়ির নীচে রয়েছে এক আশ্চর্য ঝুলন্ত পাথর।বছরের পর বছর সেখানেই পড়ে রয়েছে সেটি।  কথিত আছে   হজরত খ্বাজা মৈনুদ্দিন চিশতি বা খ্বাজা গরিব নওয়াজের দরগায় চাদর দিলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।  লোকে বলে, এই পাথরটি নাকি কোনও এক অভিশপ্ত ব্যক্তির উপর পড়ার কথা ছিল। সেই ব্যক্তি খ্বাজা গরিব নওয়াজকে স্মরণ করেন এবং খ্বাজার আশীর্বাদে সেই পাথর আর ওই ব্যক্তির উপর না পড়ে  ওভাবেই ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।  


ঠিনঠিনি পাথর : ছত্তিশগড়ের সরগুজাতে রয়েছে এক রহস্যময় পাথর , যার নাম ঠিনঠিনি পাথর। তবে এই পাথরেরে আসল নাম ফোনোটিক স্টোন।লোকে বলে এটি নাকি দেবতাদের আজব সৃষ্টি। এই পাথরে অন্য কোনও পাথর ধাক্কা খেলে সুন্দর ধ্বনী বেজে ওঠে। ছত্তিশগড়ের সরগুজার ছিন্দকালো গ্রামের এই পাথর নিয়ে হয়েছে বহ বৈজ্ঞানিক গবেষণা। যদিও এখনও পর্যন্ত নাকি কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেলেনি।