প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই মিরিককে আরও জনপ্রিয় করেছে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে

দার্জিলিংয়ের এক অপূর্ব জায়গা হল মিরিক। মিরিক শব্দটি এসেছে লেপচা শব্দ মির-ইওক থেকে। বাংলার এর অর্থ অগ্নিদগ্ধ স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আবহাওয়ার জন্য ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় এই মিরিক। মিরিকের প্রধান আকর্ষণ সুমেন্দু হ্রদ। এই হ্রদের একদিকে রয়েছে সাবিত্রী পুষ্প উদ্যান নামে বাগান এবং অন্যদিক পাইন গাছের জঙ্গল।এই লেকের উপর একটি ৮০ ফিট দীর্ঘ সাঁকো দিয়ে হাঁটাচলা, জলে নৌকাবিহার এবং টাট্টু ঘোড়ায় চেপে লেকের চারপাশ প্রদক্ষিণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। দার্জিলিং জেলার অন্ততম প্রধান ব্যবসায়িক কেন্দ্র হল এই মিরিক। মিরিক বাজারে আশপাশের গ্রাম এবং চা বাগানের মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাবেচা করেন। মিরিক আদতে একটি পাহাড়ি মফঃস্বল।
একে ঘিরে রয়েছে সৌমিরিনি, থার্বো, গোপালধারা এবং ফুগুরি চা বাগান। মিরিকের খুব কাছেই অবস্থিত বোকার গুম্ফা। তিব্বতিরা এখানে ভগবান বুদ্ধের আরাধনা করেন। এটি একটি শান্ত এবং নিস্তব্ধ এলাকা।মিরিকের মিরিক বস্তি, মুরমা ও সৌরেনি বস্তি অঞ্চলে কমলালেবুর ফলন হয় , মিরিকের কমলালেবু জগৎ বিখ্যাত।আন্তর্জাতিক ফুলের বাজারের মিরিকের অর্কিডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মিরিকের জলবায়ু বিশ্বের অন্যতম দামি অর্কিড সিমবিডিয়াম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। মিরিকের রাতো মেট-এএকটি সিমবিডিয়াম অর্কিডের বাগান রয়েছে যার নাম "দার্জিলিং গার্ডেন্স প্রাইভেট লিমিটেড"।
মিরিক থেকে রিশপ, সিটং, লাভা, চটকপুর, গজলডোবা সহজেই যাওয়া যায়।মিরিকের ডন বসকো স্কুলের কাছেই অবস্থিত ডন বস্কো ক্যাথলিক চার্চ দার্জিলিং জেলার অন্যতম সুন্দর এবং বড় ক্যাথলিক চার্চ।মিরিকে যেমন খাঁটি বাঙালি খাবার পাবেন তেমনই নেপালি গোর্খা তিব্বতি পদও পাবেন মিরিকে।নিরিবিলিতে থাকতে গেলে মিরিকের সুইস কটেজ দারুণ জায়গা।বাগডোগরা বিমান বন্দর থেকে মিরিকের দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার। মিরিকের সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশনটির নাম নিউ জলপাইগুড়ি। শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিং থেকে বেশ কয়েকটি বাস মিরিকে যায়। রয়েছে ট্যাক্সির ব্যবস্থা।