নবদ্বীপ | নদিয়া জেলায় অবস্থিত সুপ্রাচীন শহর Navadwip

নবদ্বীপ | নদিয়া জেলায় অবস্থিত সুপ্রাচীন শহর Navadwip

নদিয়া জেলা অবস্থিত সুপ্রাচীন শহর। ১০৬৩ খ্রিস্টাব্দে এই শহর প্রতিষ্ঠিত। বৈষ্ণব ধর্মের পীঠস্থান হিসাবে নবদ্বীপ পরিচিত।১১৫৯ সাল থেকে ১২০৬ সাল পর্যন্ত বাংলায় সেন রাজাদের আমলে রাজধানী ছিল নবদ্বীপ। ১২০২ সালে রাজা লক্ষ্মণ সেনের সময় বখতিয়ার খলজি নবদ্বীপ জয় করেন যা বাংলায় মুসলিম সাম্রাজ্যের সূচনা করে। চৈতন্যের সময়ে বাসুদেব সার্বভৌম, রঘুনাথ শিরোমণি, স্মার্ত রঘুনন্দন প্রমুখ এবং পরবর্তীতে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ, বুনো রামনাথ প্রমুখের পাণ্ডিত্যে তৎকালীন সময় থেকে নবদ্বীপ সংস্কৃতচর্চা ও বিদ্যালাভের পীঠস্থান হয়ে ওঠে। নবদ্বীপ ছিল সেই সময়ে বিদ্যালাভের পীঠস্থান ও একে বলা হত বাংলার অক্সফোর্ড।

নবদ্বীপ নামের উৎস সম্বন্ধে নানা ধারণা প্রচলিত আছে। নবদ্বীপ ও নদিয়া এই দুটি নামই এই জনপদে প্রচলিত। এই শহর বহু বার বৈদেশিক আক্রমণের শিকার হয়েছে, যার ফলে উচ্চারণের বিকৃতির মাধ্যমে নদিয়া ও নবদ্বীপ সম্পর্কযুক্ত হতে পারত, যদিও তা হয় নি। নবদ্বীপ, 'নূদীয়া' 'নওদিয়া'বা 'নদীয়াহ' হয়েছে ভাষান্তরের জন্য। রজনীকান্ত চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়েছেন, "মিনহাজউদ্দিন সিরাজির গ্রন্থে নবদ্বীপকে নওদিয়ার বলা হইয়াছে। নওদিয়ার শব্দে নূতন দেশ।" নূতন দেশ বলতে এখানে গঙ্গাবিধৌত পলিসঞ্জাত নুতন দ্বীপকেই বোঝান হয়েছে। নবদ্বীপের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত সেন যুগ থেকে পাওয়া গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক পাল যুগে এবং শূরবংশে নবদ্বীপের উল্লেখ করছেন। সমসাময়িক লেখমালা ও পুঁথিপত্রে আদিশূরের উল্লেখ পাওয়া না যাওয়ায় অনেক ইতিহাসবিদ আদিশূরকে ঐতিহাসিক চরিত্র হিসেবে না মানলেও ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট আদিশূরের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। ইংরেজ ঐতিহাসিক নবদ্বীপকে আদিশূরের রাজধানী বলে উল্লেখ করেছেন। 

 রাজশাহী জেলার দেওপাড়া প্রস্তর ফলক থেকে জানা যায়, কর্ণাটক নিবাসী রাজা সামন্ত সেন তার প্রজা ও জমিদারদের দ্বারা পরাভূত হলে শেষ বয়সে গঙ্গা-পুলিনে বাস করেন। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে সামন্ত সেন শেষ বয়সে ভাগীরথী তীরবর্তী নবদ্বীপে বাস করেন।গৌড়ের পূর্বে, লক্ষ্মণসেন ও বল্লালসেনের সময়ে নবদ্বীপ সেন রাজাদের রাজধানী ছিল। ১১৫৯ থেকে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তারা বাংলায় রাজত্ব করেন। নবদ্বীপ সংলগ্ন বামনপুকুর অঞ্চলে সেন-স্মৃতি বিজড়িত বল্লাল ঢিপি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ দ্বারা সংরক্ষিত করা হয়েছে। লক্ষ্মণসেনের রাজত্বকালে ১২০২ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজি নবদ্বীপ আক্রমণ ও লুটপাট করেন এবং লক্ষ্মণসেনকে পরাজিত করে বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করে। সেইসময় নবদ্বীপের সমৃদ্ধি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুসলিম শাসনকালে বাংলা তথা নবদ্বীপের বিভিন্ন মন্দির-সুবর্ণবিহার ও প্রতিমা ধংস করা হয়।

কবি কর্ণপুর তাঁর চৈতন্য চরিতামৃতাম্ মহা কাব্যে নবদ্বীপকে নবীন দ্বীপং বলে উল্লেখ করেছেন। ষোড়শ শতাব্দীতে নুলো পঞ্চানন বলেছেন, কহেন রাজা কাহার কথা অভিলাশ। নব নব দ্বীপপুঞ্জ নবদ্বীপে প্রকাশ। লক্ষ্মণ সেনের সমসাময়িক এডু মিশ্র নবদ্বীপ সম্বন্ধ্যে বলেছেন, গঙ্গাগর্ভোস্থিত দ্বীপ দ্বীপপূঞ্জৈবর্হিধৃত। প্রতিচ্যাং যস্য দেশস্য গঙ্গাভাতি নিরন্তরম। নবদ্বীপ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় কৃত্তিবাস ওঝার রামায়াণে। তিনি অবশ্য নদিয়া এবং নবদ্বীপ দুটি নামই উল্লেখ করেছেন- গঙ্গারে লইয়া জান আনন্দিত হইয়া আসিয়া মিলিল গঙ্গা তীর্থ যে নদীয়া। সপ্তদ্বীপ মধ্যে সার নবদ্বীপ গ্রাম। একঅরাত্রি গঙ্গা তথা করিল বিশ্রাম। মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের মতে গঙ্গা গর্ভোত্থিত নতুন দ্বীপটি সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদের সুসংবদ্ধ উচ্চারণে হয়ে ছিল ‘নবদ্বীপ’। পরে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে বখতিয়ার খলজি নবদ্বীপ জয় করার পর ফার্সি-ভাষায় নবদ্বীপ অর্থে নতুন দ্বীপ কথাটির ভাষান্তর ঘটিয়ে ‘নদিয়া’ করেছেন মাত্র। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম দাস) প্রচার করলেন নবদ্বীপ হচ্ছে নয়টি দ্বীপের সমষ্টি। 

১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দের দোলপূর্ণিমার দিন নবদ্বীপের শ্রী চৈতন্য দেবের আবির্ভাব ঘটে। এটি শ্রীচৈতন্যদেবের দ্বিতীয় পত্নী বিষ্ণুপ্রিয়ারও জন্মস্থান। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী ১৮৬টির বেশি মন্দির নবদ্বীপে অবস্থিত। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে নবদ্বীপ যাওয়া যায়। শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে প্রথমে কৃষ্ণনগরে পৌঁছতে হবে,তারপর ন্যারোগেজ লাইনে ট্রেন ধরে নবদ্বীপ ধামে পৌঁছে ফেরি পেরিয়ে নবদ্বীপে যাওয়া যায়। অথবা বাসে করে সরাসরি নবদ্বীপে পৌঁছনো যায়। এছাড়া কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে অটো করে স্বরূপগঞ্জ ঘাটে পৌঁছে ফেরিঘাট পেরিয়ে নবদ্বীপ যাওয়া যায়। বৈষ্ণব ধর্মের পীঠস্থান নবদ্বীপ। ভাগীরথীর পাড়ে নবদ্বীপে ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে দোলপূর্ণিমায় আবির্ভাব শ্রীচৈতন্যদেবের। গঙ্গার প্রবাহ বদলে বিভ্রান্তি ঘটেছে জন্মভিটে নিয়ে। তবে শ্রীচৈতন্যের দ্বিতীয়া পত্নী বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্ম আজকের নবদ্বীপে। জন্মভিটে নিয়ে বিভ্রান্তি ঘটলেও ঘরে ঘরে গৌরাঙ্গপ্রভুর মন্দির। নবদ্বীপ জুড়ে একের পর এক মন্দির আর মঠের সারি। বিরাম নেই নাম সংকীর্তনের। সারা দিন ধরেই চলে দেবতার ভজন।

নবদ্বীপের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম হল রাস-উৎসব। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে খুব ধুমধাম করে রাস উৎসব পালন করা হয়। রথযাত্রা ওড়িশার প্রধান উৎসব হলেও চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্য নবদ্বীপের রথযাত্রার গর্ব রয়েছে। প্রায় ২০-২৫ টি রথ এই উপলক্ষে বের হয়। এখানে ভগবান জগন্নাথের সম্পূর্ণ হাতযুক্ত বিগ্রহের ব্যতিক্রমী উদাহরণ পরিলক্ষিত হয়। এখানে রথযাত্রার আরেকটি বিশেষত্ব হ'ল "নটকনা" নামক একটি ফল, যা বিশেষত এই সময়ে পাওয়া যায়। এছাড়াও দোল পূর্ণিমা, চন্দন যাত্রা, ধুলোট মেলা, গঙ্গা পূজা,ঝুলন যাত্রা প্রভৃতি অনুষ্ঠানগুলো খুব বড় করে এখানে পালিত হয়।  শাক্তরাস নবদ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রাচীন উৎসব, যা শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনের পঁয়ত্রিশ দিন পরে বা কার্তিক পূর্ণিমাতে কালী পূজার পনের দিন পরে উদযাপিত হয়। বিভিন্ন দেব-দেবীর বিশাল মৃন্ময়ী প্রতিমা গড়ে শক্তির উপাসনা করা এই উৎসবের মূল বৈশিষ্ট্য। কৃষ্ণনগরেনদীয়া রাজপরিবার এই উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এবং পরবর্তীতে প্রধানত রাজা গিরিশচন্দ্র পৃষ্ঠপোষকতার নবদ্বীপ শাক্তরাস জনপ্রিয় ও গৌরবময় হয়ে ওঠে।

নবদ্বীপে বছরজুড়ে অনেক উৎসব পালিত হয়। এখানকার উৎসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- নববর্ষ, শাক্তরাস, চন্দনযাত্রা, গাজন উৎসব, রথযাত্রা, দুর্গা পূজা, শিবের বিয়ে, দোল পূর্ণিমা, ঝুলন পূর্ণিমা, ধুলোট, গৌর-পূর্ণিমা, গঙ্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, গুরু পূর্ণিমা প্রভৃতি। এদের মধ্যে রাসযাত্রা এবং দোলযাত্রা ও রথযাত্রা মহাসমারহে পালিত হয়। নবদ্বীপের বিলুপ্তপ্রায় একটি উৎসব হল ধুলোট। এটি মাঘ মাসে হওয়া কীর্তনিয়াদের একটি সাধারণ সম্মেলন। সাধারণত সমগ্র বাংলার খ্যাতিমান কীর্তনীয়গণ নবদ্বীপে একত্রিত হয়ে তেরো দিন ব্যাপী নাম-সংকীর্তন করতেন।

নবদ্বীপের সাংস্কৃতিক আভিজাত্যে শৈবসংস্কৃতির প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। পাল যুগে নবদ্বীপ বৌদ্ধ ধর্মের পীঠস্থান হওয়ায় নবদ্বীপের শিবলিঙ্গগুলোর বেশিরভাগই বৌদ্ধ প্রভাবিত। নবদ্বীপের পশ্চিমে ‘পারডাঙা’র ঢিপির ( বর্তমানে ‘পাড়পুর’) ধ্বংসাবশেষ থেকে বৌদ্ধ-প্রভাবিত অনেকগুলি শিবমূর্তিগুলি পাওয়া যায়। নবদ্বীপের বুড়োশিব, যোগনাথ, বানেশ্বর, হংসবাহন, পারডাঙার শিব প্রভৃতি বৌদ্ধ প্রভাবিত শিবলিঙ্গ বর্তমান। এঁদের কোন গৌরীপট্ট নেই। নবদ্বীপের বুড়োশিব, যোগনাথ, বানেশ্বর, দণ্ডপাণি, হংসবাহন, অলকনাথ, বালকনাথ, ভবতারণ, পোলোশ্বর শিব মূর্তিগুলোর মধ্যে ভবতারণ ও অলোকনাথ ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির চিহ্ন যুক্ত প্রতিষ্ঠিত শিব।

নদিয়ার রাজারা এই দুই শিবের প্রতিষ্ঠাতা। অলকনাথ প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং ভবতারণ প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজ গিরিশচন্দ্র রায় (১৮২৫ খ্রি)। ভবতারণ শিবের গাজন হয় না। বালকনাথ শিব কুড়িয়ে পেয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্যামাচরণ দাস। পোলো দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে যে মূর্তি পাওয়া যাওয়ায় তার নাম পোলোশ্বর শিব। হংসবাহন শিব সারাবছর হংসদার বিলে নিমজ্জিত থাকেন, গাজনের কদিন মন্দিরে অধিস্থান করেন। পূর্বে এটা ছিল বৌদ্ধ মূর্তি ছিল, হংসের উপর স্থাপিত প্রস্তর নির্মিত পঞ্জর চিহ্নযুক্ত শিলাটি বর্তমানে শিব রূপে পূজিত হয়। গাজনের পাঁচ দিন নবদ্বীপের আপামর জনগণ উৎসবে মেতে ওঠেন। দ্বাদশ শিব মন্দির নবদ্বীপে অবস্থিত আটচালা শিল্পরীতির মন্দির বাংলার মন্দির স্থাপত্যের একটি অন্যতম প্রাচীন শিবমন্দির। শিবের মুখোশ এখানকার শৈব সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।   

নবদ্বীপ মূলত বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতির পীঠস্থান। নবদ্বীপ পৌরসভা স্থাপনের পর ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপে প্রথম জনগণনা শুরু হয়। সেই সময়ে নবদ্বীপে ৮৫২০ জন হিন্দু, ৩৩৫ জন মুসলিম ও ৮ জন খ্রিস্টান ছিল। ১৮৯১ ও ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জংগণনায় ব্যতিক্রমীভাবে নবদ্বীপের জনসংখ্যা হ্যাস পায়। ১৮৮৪, ১৮৯৬ ও ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে এবং ১৯৮৯৯ ও ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্লেগের প্রকোপে বহু লোকের মৃত্যু হয়। ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে নদিয়া জেলায় প্রথম কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ফলে ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের জংগণনায় জনসংখ্যা লক্ষণীয়ভাবে হ্যাস পায়। দেশভাগের পর নবদ্বীপে জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। পূর্ববঙ্গ থেকে কয়েক হাজার নাথ সম্প্রদায়ভুক্ত তাঁতিরা এখানে এসে বসতি স্থাপন করে। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুযায়ী নবদ্বীপ পৌরাঞ্চলের জনসংখ্যা ছিল ৩০,৫৮৩ জন।

কিন্তু পরবর্তী ৩০ বছরের মধ্যে, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে এখানকার জনসংখ্যা ২০৮.০৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৯৪,২০৪ জন। দেশভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ২৬,৫৭৫ জন লোক নবদ্বীপে আসে।  ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে নবদ্বীপ শহরের জনসংখ্যা হল ১,৭৫,৪৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১.৭৫% এবং নারী ৪৮.২৫%। এই শহরের জনসংখ্যার ৭.৪৪% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। সাক্ষরতার হার ৮৭.৫৭%। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে নবদ্বীপ শহরের জনসংখ্যা ছিল ১,১৫,০৩৬ জন। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে নবদ্বীপের সাক্ষরতার হার বেশি।নবদ্বীপের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় সম্প্রদায় হল হিন্দু (মোট জনসংখ্যার ৯৮.৯৭%)। নবদ্বীপে বসবাসকারী ইসলাম ধর্মে, ০.৭৯ %, খ্রিস্ট ধর্মে ০.০৪ %, শিখধর্মে ০.০১ % মানুষ বিশ্বাসী। এছাড়া অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাসী ০.০১ % ।নবদ্বীপধাম স্টেশনের কাছে মিউনিসিপ্যালিটির ট্যুরিস্ট লজ, এছাড়াও বেসরকারি লজ,ধর্মশালা ও অথিতিশালায় পর্যটকদের থাকার সুবন্দোবস্ত আছে।  

কিভাবে যাবেন:

ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলে, কলকাতা থেকে  জাতীয় সড়ক ধরে,হারিনঘাটা, রানাঘাটা, কৃষ্ণনগর হয়ে মায়াপুরে যাওয়া যাবে। আবার কলকাতা থেকে সিঙ্গুর, গুরাপ, বইঞ্চি, কালনা, ধাত্রীগ্রাম হয়ে নবদ্বীপ ধাম যাওয়া যায়। ট্রেনে দুই দিক দিয়ে যাওয়া যায় নবদ্বীপ ধাম স্টেশন আর কৃষ্ণানগর স্টেশন থেকে বাসে করে, বাসে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ২-০০ ঘন্টা রাস্তা । 

নবদ্বীপ ধাম স্টেশন —
হাওড়া —কাটোয়া –লোকাল –সকাল ৫-২১ মিনিট, পৌছায়-সকাল ৭-৪৬ .
হাওড়া —কাটোয়া –লোকাল –সকাল ৮-০০ মিনিটে,পৌছায়-সকাল ১০-২৫ মিনিট
হাওড়া —কাটোয়া –লোকাল –সকাল ১০-০০ টায়, পৌছায় -দুপুর ১২-২৫মিনিট,

কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনে—
শিয়ালদহ –কৃষ্ণনগর —লোকাল-ছাড়ে-সকাল-৫-২০ মিনিট–পৌছায়-সকাল ৭-৪৫মিনিট।
শিয়ালদহ –কৃষ্ণনগর —লোকাল-ছাড়ে-সকাল ৬-১০ মিনিট-পৌছায়-সকাল ৮-৩৫ মিনিট।
শিয়ালদহ –কৃষ্ণনগর —লোকাল-ছাড়ে-সকাল ৭-৪৬মিনিট-পৌছয়-সকাল ১০-০৫মিনিট।