কাশ্মীরের শোপিয়ানে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ৩ লস্কর জঙ্গি

কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন অভিযানে বড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। এবার গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার তিন সদস্য। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শোপিয়ান জেলার বাদিগাম এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পায় সেনাবাহিনী (Indian Army)। বৃহস্পতিবার গোয়েন্দাদের মারফত্ 'ইন্টেলিজেন্স ইনপুট' পেয়েই সক্রিয় হয়ে ওঠে ফৌজ ও পুলিশ।
দ্রুত ছকে ফেলা হয় অভিযানের পরিকল্পনা। গতকাল রাতেই দ্রুত জওয়ানদের মোতায়েন করে ঘিরে ফেলা হয় জঙ্গি ডেরাটি। তারপর শুরু হয় গুলির লড়াই। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে চলে সংঘর্ষ। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিন জঙ্গির লাশ পাওয়া গিয়েছে। নিহতরা সকলেই পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য।
ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু হাতিয়ারও পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি। এই অভিযানকে বড়সড় সাফল্য হিসেবেই দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশটি।
কয়েকদিন আগেই বান্দিপোরার পুলিশ নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সঙ্গে ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই অভিযানেই দুই যুবককে আটক করা হয়। জেরা করে জানা যায়, জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) সদস্য ওই দুই যুবক। তাদের মগজধোলাই করে দলে টেনেছিল জইশের চাঁইরা।
শুধু তাই নয়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য তাদের হাতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কাশ্মীর নিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত আবিদা হুসেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াতে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের থেকে নিয়মিত টাকা নিতেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।