অনুব্রতর ব্যাপারে কোনও কথা নয়, সিদ্ধান্ত মমতা-অভিষেকদের

অনুব্রতর ব্যাপারে কোনও কথা নয়, সিদ্ধান্ত মমতা-অভিষেকদের

 

আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। সেখানে দলের রণকৌশল ঠিক কী হবে, তা স্থির করার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন দলনেত্রী Mamata Banerjee মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে সংসদে Anubrata Mondal অনুব্রত প্রসঙ্গ তোলা হবে না। অন্ততপক্ষে আগ বাড়িয়ে তো কোনও মন্তব্য করা হবে না।

যে অনুব্রত মণ্ডল  গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতৃত্বকে বারবার তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে, সেই অনুব্রতর মাথা থেকে কি তবে সরে যাচ্ছে দলের হাত? প্রশ্ন উঠছে এমনটাই। আগামী ১৩ মার্চ থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে সম্প্রতি কলকাতায় এই রণনীতি সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভা ও রাজ্যসভার দুই দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ব্রায়ান। তৃণমূল সূত্রের দাবি, এই বৈঠকেই স্থির হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে আপাতত ‘ধীরে চল’ নীতি নেবে দল।

আগ বাড়িয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবেন না ইডি হেফাজতে থাকা নেতার বিরুদ্ধে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বাংলা ছাড়ার পরেই কি অনুব্রত মণ্ডলকে ছেঁটে ফেলার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস? উল্লেখ্য, সিবিআই অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর প্রায় ৬ মাস কেটে গিয়েছে। এখনও জেলা সভাপতি পদেই বহাল আছেন অনুব্রত মণ্ডল।

এর আগে বীরভূম নিয়ে বৈঠক করেছেন অভিষেক, বীরভূমে গিয়েছেনন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও পুরনো পদেই রয়ে গিয়েছেন জেলবন্দি অনুব্রত। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেষ্ট মণ্ডলকে বাদ দিলে বীরভূমের মাটি ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হতে পারে তৃণমূলকে, আর সে কারণেই সম্ভবত পার্থর ব্যাপারে কঠিন হলেও, অনুব্রতর ক্ষেত্রে সুর ছিল নরম।

তাঁকে জেল থেকে বের করে বীরের সম্মান দিয়ে ফেরানোর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার রাজ্যের জেল ছেড়ে অনুব্রত গিয়েছেন দিল্লিতে। আপাতত ইডি হেফাজতে আছেন তিনি। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এমতাবস্থায় দলের কী অবস্থান হবে, তা ভেবে ফেলার সময় এসেছে তৃণমূলের।