অসম থেকে কলকাতায় এলেন অলিম্পিকে পদকজয়ী লভলিনা

অলিম্পিকে পদক জিতেছেন মাত্র ৩ সপ্তাহ হয়েছে। আর তার মাঝেই কলকাতায় এলেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার লভলিনা বরগোহেইন। মায়ের চিকিত্সার জন্য অসম থেকে কলকাতায় এলেন লভলিনা। সোমবারই কলকাতায় এসেছেন। অলিম্পিকে এবার পদকের সংখ্যার বিচারে ভারত টপকে গিয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। মেরি কমের মত বক্সার থাকলেও এবার বক্সিংয়ে ভারতের হয়ে নজর কেড়েছেন অসমের লভলনা বরগোহেইন। লভলিনা এখন কলকাতায়।
মায়ের চিকিথসার জন্য দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে হাজির অলিম্পিকে পদকজয়য়ী। সঙ্গে বাবা ও তুতো দাদা। সোমবারই অসম থেকে এসেছেন কলকাতায়। চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলার পর কলকাতা ঘুরে দেখেন লভলিনা। দক্ষিণ কলকাতার নামী শপিং মলেও সময় কাটান লভলিনা। হাতে গোনা এশহরের কয়েকজন মানুষ তাঁকে চিনেছে। তুলেছেন সেলফি। ব্যস , ওটুকুই। মঙ্গলবার সারাদিন লভলিনা ব্যস্ত ছিলেন মায়ের চেক আপ নিয়ে।
সঙ্গী বাবা ও দাদা। বুধবারই অসমের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। তার আগে tv9 বাংলার মুখোমুখি লভলিনা। অলিম্পিকে পদক জিতে গেলেন। তবে কি স্বপ্নপূরণ? লভলিনার জবাব, “এখনও আমার স্বপ্নপূরণ হয়.নি। সোনা জিততে চাই। প্যারিস অলিম্পিকে সেই স্বপ্নপূরণ করতে চাই।” চানুর যখন বায়োপিকের কাজ শুরু হয়েছে তখন লভলিনা এসবে মন দিতে চাননা। লভলিনা জানান, “আমার কোনও আগ্রহ নেই বায়োপিকে। আগে সোনা জিতি।
তারপর বায়োপিক নিয়ে ভাবব।” অবসরে তাঁর প্রথম পছন্দ ফিল্ম। দক্ষিণ ভারতীয় অ্যাকশন ফিল্মের ভক্ত। দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টারদেরও ভক্ত তিনি। অ্যাকশন ফিল্মের ভক্ত রিংয়েও আগ্রাসী। তবে বাইরে একেবারে শান্ত। এই দুই চরিত্র সামলান কিভাবে? হেসে লভলিনার জবাব, “আমি ধ্যান করি। আর এই ধ্যান করার ফলেই আমি শান্ত থাকি।তবে রিংয়ে আমি বরাবরই আগ্রাসী।” লভলিনার সঙ্গে কথা বলেই স্পষ্ট, তার চোখ এখন থেকেই ৩ বছর পর হতে চলা প্যারিস অলিম্পিকের দিকে। সোনা জয় এখন একমাত্র লক্ষ্য।