রমরমিয়ে বাড়ছে অনলাইন শপিং | একুশের পুজোতেও নিরাশ বস্ত্র বিপণিরা

ব্যাপক ছাড়ে Amazon-এ শপিং করতে এই খানে ক্লিক করুন
সারা বছর যেমন তেমনভাবে কাটালেও, পুজো উপলক্ষে বিশেষ শপিং বাঙালির একটি নিজস্বতা। হবে নাই বা কেন? বছরের এই তো চার দিন, যার অপেক্ষায় এক বছর কাটে। সেই আনন্দে রঙ লাগাতে ব্যাহিক আড়ম্বর কিছুটা বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে সেই আনন্দে ভাঁটা। আর এ বছর সেই আনন্দে জোয়ার অনিশ্চিত। গত বছরের থেকে এ বছর যেন আরও খারাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পুজোয় নতুন জামা, নতুন জুতো ট্রেডমার্ক। কিন্তু পুজোর উত্সবই যদি স্তিমিত হয়ে আসে তবে হাসি-আহ্লাদে কমতি তো দেখা দেবেই। গত বছর পুজোর পর যে হারে বেড়েছিল করোনা তা নিয়ে এ বছরও চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল। এর ওপর রয়েছে তৃতীয় ঢেউ এর চোখ রাঙানি ফলে নতুন জামা কাপড় কেনায় আগের মতো মন দিতে নারাজ ক্রেতারা। দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় বস্ত্রবিপণির ম্যানেজারবলেন, "গত বছরের তুলনায় এ বছরের বাজার কিন্তু বেশ খারাপ। গড়িয়াহাট চত্বরেও পুজোর যে ভিড় আগে দেখা যেত তা এ বছর অনেক কম। করোনার ফলে মানুষের মধ্যে একটা ভয় রয়েছে।
এছাড়াও সঞ্চয়ের একটা বিষয় রয়েছে। আগে প্রাণে বাঁচবে তারপর তো জামাকাপড়, এই ভাবনার জন্য বিক্রি কম। তবে সল্টলেকে আমাদের একটি নতুন শোরুম উদবোধন হয়েছে। সেখানে রেসপন্স বেশ ভাল।"একই সুর শোনা গেল উত্তর কলকাতার জনপ্রিয় দোকানের কর্ণধার বলেন, "সারাবছর যা বিক্রি হয় সেটি ছাড়াও পুজোয় তো আমাদেরও একটি লক্ষ্য থাকে। কিন্তু এ বছরও বাজার সেই এক জায়গায় আটকে।
গত বছর তাও একটু ভাল ছিল। এ বছর এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও বিরাট বদল ঘটেনি। তবে পুজোর আরও কিছুটা সময় রয়েছে হাতে। আশা করছি সকলের মুখে হাসি ফুটবে।" উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার-হাতিবাগান হোক, মধ্যের নিউমার্কেট কিংবা দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট, বস্ত্র বিপণিরা একুশের পুজোতেও নিরাশ।
গড়িয়াহাটের খাদিবস্ত্র বিপণির কথায়, "গত বছর মানুষের মনে এতটা ভয় ছিল না। কিন্তু পুজোর পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সেই ভয়াবহতাকে দেখিয়েছে। এ বছর আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিক্রিবাট্টা হচ্ছে গড়পড়তা। কোনওদিন একটু বেশি, কোনওদিন একেবারে কম। তবে পুজোর সেই বিক্রি এখনও চোখে পড়েনি।" যদিও এর মাঝেই রমরমিয়ে শপিং বাড়ছে অনলাইন বেশ কয়েকটি সংস্থায়।
Amazon এর তরফে চলতি বছরের জুলাইয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে একটি 'সেল' -এ তাঁরা প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি দেখেছেন গত বছরের তুলনায়। দেশজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ পণ্যে (পোশাক) বিক্রি করেছেন তাঁরা। জুলাইয়ের সেই অনলাইন ছাড়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪ গুণ বেশি ইউজাররা তাঁদের প্ল্যাটফর্মে এসে শপিং করেছেন বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।