ফের আদালতের ধাক্কা রাজ্য| স্বস্তি পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

দুদিন আগের মতোই বুধবারেও দুই বড় মামলায় স্বস্তি পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। প্রথমটি কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ককে নিয়ে। যা নিয়ে আপাতত স্বস্তিতে তিনি। আর দ্বিতীয় তাঁর অনুগত রাখাল বেরাকে নিয়ে। এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাখাল বেরাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারী কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। কিন্তু গোল বেঁধেছে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের লেনদেন নিয়ে স্পেশাল অডিটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান রাধাগোবিন্দ দত্ত।
এদিন হাইকোর্টের তরফ থেকে রাজ্যের দেওয়া স্পেশাল অডিটের নির্দেশের ওপরে স্থগিতাদের জারি করা হয়েছে। এদিন শুনানির পরে বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেন। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশে বিচারপতি এই মামলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনওটায় চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে অপসারণ আবার কোনওটায় স্পেশাল অডিটের পরিকল্পনা করে তদন্তের নির্দেশ দেয়, এমনটাই অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শিবিরের।
রাজ্য সরকারকে ধাক্কা আদালতের দুদিন আগেই এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাতে অপসারণ বৈঠক বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাতে ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ডে থাকা কয়েকজন ডিরেক্টর বৈঠক ডেকেছিলেন। সোমবার শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ সেই বৈঠক খারিজ করে দেয়।এদিন রাখাল বেরার গ্রেফতারের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ অবিলম্বে চাকরির বিনিময়ে অর্থের প্রতারণা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত সোমবার হাইকোর্টেই রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ রাখাল বেরাতে জামিনের নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার সেই প্রক্রিয়া চলার সময়েই পুলিশ তাঁকে গত জুন মাসে করা নন্দকুমারের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে সঙ্গে রাখাল বেরার ছেলে তাঁদের আইনজীবীকে জানান। সেই সময় হাইকোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে রাখাল বেরার মামলার শুনানি চলছিল। বিচারপতিদের গ্রেফতার ঘটনা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বলেন, আদালতের নির্দেশ ছিল পরবর্তী সময়ে রাখাল বেরাকে গ্রেফতারের আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হল না কেন।