কলা খাবার পর খোসা ফেলে দেন , এবার থেকে ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান এইসব উপায়ে 

কলা খাবার পর খোসা ফেলে দেন , এবার থেকে ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান এইসব উপায়ে 

কলা সহজলভ্য ও পুষ্টিকর একটি ফল, ঝটপট পেট ভরানোর অন্যতম ভরসা এই ফল। কলার পুষ্টিগুন আমাদের সকলেরই একটুআধটু জানা। তবে জানেন কি কলার খোসাটিও কলার মতোই  উপকারি। কলার খোসায় প্রচুর প্রয়োজনীয় মিনারেল আর পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডান্ট রয়েছে। আর  সস্তায় রূপচর্চা করতে হলে কলার খোসার জুড়ি মেলা ভার।আসুন জেনে নিই কলার খোসা কী কী কাজে লাগে   

যাঁদের ঘন ঘন আঁচিলের সমস্যা আছে তাঁরা কলার খোসা থেকে উপকার পাবেন। আঁচিলের উপর কলার খোসার সাদা অংশটা ঘষুন। তারপর একটুকরো খোসা আঁচিলের উপর চাপা দিয়ে গজ ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়ে দিন। কিছুদিন করলেই দেখবেন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 

নিয়মিত যাঁরা কলা  খান  তাঁদের বলিরেখার সমস্যা এমনিতেই কম হয়। বাড়তি উপকার পেতে একটা কলার খোসা বেটে নিন ,  তাতে একটা ডিমের কুসুম মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এই পেস্টটা মুখে মেখে পাঁচ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।

দাঁতে বিশ্রী হলদে ছোপ ধরেছে? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখুন  কলার খোসার উপর। খোসার ভিতরদিকের সাদা অংশটা দাঁতে রোজ খানিকক্ষণ ঘষুন। দেখবেন দাঁতে হলদে ছোপ অনেকটা কমে গেছে।   

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে কলার খোসার জুড়ি মেলা ভার। কলার খোসা পিস করে কেটে ফ্রিজে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সংরক্ষণ করুন। এরপর চোখের নিচে এই কলার ঠাণ্ডা খোসা লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলন। সপ্তাহে তিনবার  এই কাজ করুন , চোখের নিচে কালো দাগ অনেকটা দূর হয়ে যাবে। 

আপনাকে জ্বালা আর চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে পারে কলার খোসা। হাত-পায়ে মশার কামড়ালে বা যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাত্ কামড়ায় কলার খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যাবে। কামড়ানোর জায়গাটায় কলার খোসা ঘষুন, দেখতে দেখতে জ্বালা আর চুলকানি দুটোই কমে যাবে, ত্বকও শীতল হবে।

এছাড়াও কলার খোসা অবসাদ কাটাতে , ত্বকের যে কোন কাজের জন্য , দাদের ওষুধ হিসাবে, মসৃণ ত্বকের জন্য কাজে লাগে ।